21 July Rally

টিকিট কই? ট্রেনে ‘ভরসা’ ব্যাজ, লিফলেট

দলের কর্মী-সমর্থকদের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে কলকাতায় নিয়ে যেতে বাসও ভাড়া নিয়েছে তৃণমূল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৩ ০৬:০২
টিকিট নয়, দলের দেওয়া ব্যাচ হাতে নিয়ে ধর্মতলায় সভার উদ্দেশ্যে দিনহাটা স্টেশন থেকে রওনা দিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অনেকেই। নিজস্ব চিত্র

টিকিট নয়, দলের দেওয়া ব্যাচ হাতে নিয়ে ধর্মতলায় সভার উদ্দেশ্যে দিনহাটা স্টেশন থেকে রওনা দিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অনেকেই। নিজস্ব চিত্র

বুকে ব্যাজ ঝুলিয়ে, হাতে কলকাতার সমাবেশের লিফলেট। তা নিয়েই অনেকে উঠলেন ট্রেনে। টিকিট পরীক্ষক সামনে এলেই লিফলেট হাতে ধরে বসে থাকলেন। কেউ কেউ বুক ফুলিয়ে দেখিয়ে দিলেন, ব্যাজের উপরে লেখা 'তৃণমূল'। কেউ আবার বাসের টিকিট কেটেই রওনা দিলেন ধর্মতলার পথে। বৃহস্পতিবার শেষ প্রহরেও ২১ জুলাইয়ের সভায় যোগ দিতে ভিড় ছুটল কোচবিহারের মতো জেলা থেকে। সাধারণ কামরায় ভিড়ে ঠাসাঠাসি অবস্থা। অনেকেই অভিযোগ করলেন, সংরক্ষিত কামরাতেও উঠে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। উত্তর-পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ দিন ভিড় একটু বেশি ছিল। সংরক্ষিত কামরায় নজরদারি ছিল। আর কারও কোনও অসুবিধে হলে, অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে। অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’’ তৃণমূল অবশ্য বিনা টিকিটে কর্মীদের যাতায়াতের অভিযোগ মানতে নারাজ। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘এ বার বিশেষ ট্রেন দিয়েছে দল। এ ছাড়া, বাস ভাড়া করা হয়েছে। তার বাইরে সবাইকে টিকিট কেটেই সভাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই টিকিট না কেটে কারও যাওয়ার কথা নয়।’’

দিনহাটার বামনহাটের তৃণমূল কর্মী মোস্তাফা রহমান, ভেটাগুড়ির দিলদার হোসেন অবশ্য বলেন, ‘‘টিকিট কাটিনি। দলের দেওয়া ব্যাজ রয়েছে আমাদের কাছে। টিটি টিকিট দেখতে চাইলে সেটা দেখিয়ে দেব।’’ দিনহাটার সাহেবগঞ্জের এক তৃণমূল কর্মী জানান, তিনি দলের দেওয়া ব্যাজ নিয়েই কলকাতায় যাচ্ছেন।

Advertisement

দলের কর্মী-সমর্থকদের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে কলকাতায় নিয়ে যেতে বাসও ভাড়া নিয়েছে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার, মাথাভাঙা, পুণ্ডিবাড়ির মতো জেলার একাধিক এলাকা থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এনবিএসটিসি) বাস ভাড়া নিয়ে কলকাতায় রওনা দিয়েছেন কর্মীরা। নিগম সূত্রে খবর, কোচবিহার-সহ উত্তরের একাধিক জেলা থেকে ওই কর্মসূচির জন্য ২০টি বাস ভাড়ার আবেদন পড়েছিল। ওই আবেদনের ভিত্তিতে নিয়ম মেনে বাস ভাড়া দেওয়া হয়। বিজেপির অভিযোগ, তাতে স্বাভাবিক যাত্রী পরিষেবা বিঘ্নিত হবে। তা ছাড়া, সরকারি বাস তাদের দলের কর্মসূচির জন্য ভাড়া দেওয়া হয় না। বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে মালিকদের ভাড়া না দিতে চাপ দেওয়া হয়। বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘একটা বাস ভাড়া দেওয়া হলেও একটি রুটে প্রভাব পড়বে। যাত্রী পরিষেবার কথা না ভেবেই শাসকের দলীয় কর্মসূচিতে বাস ভাড়া দেওয়া হয়। আমাদের ক্ষেত্রে পক্ষপাত করা হয়।’’ তবে নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘অতিরিক্ত বাস ভাড়া দেওয়ায়, স্বাভাবিক যাত্রী পরিষেবায় কোনও অসুবিধা হবে না।’’

২১ জুলাইয়ের সভায় যোগ দিতে শেষ মুহূর্তেও আলিপুরদুয়ার থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা কম ছিল। জেলা থেকে বা জেলার উপর দিয়ে যাওয়া কলকাতাগামী বিভিন্ন ট্রেনে ওই নেতা-কর্মীরা ওঠেন। তাদের প্রায় প্রত্যেকেই অবশ্য এ দিন টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেছিলেন। মঙ্গল ও বুধবার জেলা থেকে প্রচুর লোক কলকাতায় রওনা হন।

আরও পড়ুন
Advertisement