—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP
তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে অসুস্থতার প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিয়ে সচেতনতা প্রচার চালাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে। হিটস্ট্রোক, হিট হাইপাইরেক্সিয়া, হিট ক্র্যাম্প ও তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত কারণে অন্য রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ-সহ জেলার সব হাসপাতালকে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মাত্রাতিরিক্ত তাপের প্রভাবে দেহে জলীয় পদার্থ ও খনিজের অভাব দেখা যায়। দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় যথেষ্টই। আক্রান্তের শরীরে ঘামের অভাব, উত্তপ্ত লাল ত্বক, দ্রুত নাড়ির গতি, বমি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, আচ্ছন্নতা, জ্ঞান হারানো, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হিটস্ট্রোকে এই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আক্রান্তকে ঠান্ডা জলে স্নান করানো, পাখার বাতাস করা, ঠান্ডা জিনিস বা বরফের প্রলেপ দেওয়া এবং দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে ওআরএস, নর্ম্যাল স্যালাইন, রিঙ্গার্স সলিউশন, অ্যান্টিপাইরেটিক, অ্যান্টিহিস্টামিনিক ওষুধ, বরফের ব্যাগ, ইনফিউশন সেট এবং প্রয়োজনীয় কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ও ইঞ্জেকশন মজুত রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হিটস্ট্রোক, হিট হাইপাইরেক্সিয়া, হিট ক্র্যাম্প আক্রান্ত রোগীদের খবর পাওয়া গেলে দ্রুত নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে ওই রোগীদের নিয়ে আসা হলে দ্রুততার সঙ্গে ভর্তি করানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে তৃষ্ণা না পেলেও নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে জল পানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। বাড়ির বাইরে বার হলে অবশ্যই পানীয় জলের বোতল সঙ্গে রাখতেও বলেছেন।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, গরমে ডায়েরিয়া ও অন্যান্য পেটের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই। খুব প্রয়োজন ছাড়া রোদে না বার হওয়া ভালো। রোদে যাঁদের কাজ করতে হচ্ছে, তাঁদের অবশ্যই জল বেশি পরিমাণে পান করতে হবে। মাঝে মাঝে খানিকটা বিশ্রাম নিতে হবে। হালকা খাবার খাওয়া এই সময়ে সকলের জন্যই জরুরি। বাজারের কাটা ফল, ঠান্ডা পানীয়, আ-ঢাকা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
মেডিক্যালের সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল কল্যাণ খান বলেন, ‘‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তাপমাত্রার বৃদ্ধিজনিত রোগে আক্রান্তদের দ্রুততার সঙ্গে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, ‘‘তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত অসুবিধার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে। সব হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।’’