Jaldapara

বাঁধ তৈরিতে এক কোটি বরাদ্দ রাজ্যের

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন শিসামারা নদীকে ঘিরে গত কয়েক বছর ধরেই আতঙ্ক চলছিল এলাকাবাসীর মনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:২৫
ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া শিসামারা নদীর বাঁধের উদ্বোধন করার পরে ফিতে কাটছেন

ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া শিসামারা নদীর বাঁধের উদ্বোধন করার পরে ফিতে কাটছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। নিজস্ব চিত্র

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন শিসামারা নদীতে বাঁধ তৈরিতে এক কোটিরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শনিবার যে কাজের সূচনা করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। শিসামারা নদীর বাঁধের কাজের শিলান্যাসের সময়ে এ দিন সেখানে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে শিলিগুড়িতে এসে প্রশাসনিক বৈঠক করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে শিসামারা নদীর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছিলেন আলিপুরদুরারে বিধায়ক সুমন। এ বারের বর্ষার আগেই রাজ্য সরকার এই বাঁধ তৈরিতে উদ্যোগী হওয়ায় খুশি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন শিসামারা নদীকে ঘিরে গত কয়েক বছর ধরেই আতঙ্ক চলছিল এলাকাবাসীর মনে। গত বছরও বর্ষায় আচমকা ওই নদীর জল বেড়ে যায়। যার জেরে বাধের একাংশ ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। ফলে আশপাশের কয়েকটি এলাকা ছাড়াও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের একাংশেও জল ঢুকে পড়ে। সেই সময়ই শিলিগুড়ির বৈঠকে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে তুলে ধরেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। সুমনের কথায়, “যে শিসামারা নদীর কথা বলা হচ্ছে, সেটা আগে একটা ঝোড়া ছিল। ভুটানে প্রবল বৃষ্টি ও সেখান থেকে জল নেমে এসেই এখন সেটা নদীর আকার নিয়েছে। তোর্সা নদীর (স্থানীয় ভাবে যা শিলতোর্সা নদী নামে পরিচিত) জল ঢুকে পড়ে এই নদী ফুলেফেঁপে ওঠে। যার জল এলাকা ঢুকে পড়ে।”

সুমন জানান, এর আগে ওই এলাকায় যে প্রযুক্তিতে বাধ তৈরি হয়েছিল তা কার্যকর হয়নি। ফলে নতুন প্রযুক্তিতে প্রায় ৩৪০মিটার এলাকায় বাধ তৈরির কাজের এ দিন শিলান্যাস হয়েছে। যাতে খরচ হবে প্রায় ১কোটি ৯লক্ষ টাকা। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে এই বাঁধের কাজের শিলান্যাসের পরে এ দিন এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের সেচমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক জানান, চলতি বর্ষার আগেই যাতে এই বাঁধ তৈরির কাজ শেষ হয়, এখন সেটাই তাদের লক্ষ্য।

আরও পড়ুন