Illegal Sand Mining

বালি পাচার রুখতে অভিযানে এসএসবি-ও

পানিট্যাঙ্কিতে মেচি নদীই দুই দেশের সীমান্ত হয়ে রয়েছে। সেখান থেকে অবৈধ খননের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ডাম্পার, ট্রাক বোঝাই করে বালি পাচার করা হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২১
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

বালি পাচার রোধে এসএসবির সাহায্য নিল ভূমি সংস্কার দফতর। নেপাল সীমান্তে শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কিতে এসএসবি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের যৌথ অভিযানের প্রথম দিন, বুধবার বালি বোঝাই ১৬টি ট্রাক্টর ধরা পড়েছে। মেচি নদী থেকে অবৈধ খনন এবং বালি পাচারের অভিযোগে সেগুলির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খড়িবাড়ি ব্লক ভূমি সংস্কার অধিকারিক প্রতিমা সুব্বা। তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয়দের তরফে অভিযোগ ছিল। আমরা এসএসবির সঙ্গে যৌথ অভিযান চালাই। বালি বোঝাই ট্রাকগুলি ধরা পড়েছে। কারও বৈধ চালান ছিল না। অভিযোগ পেলে আগামী দিনে এ রকম অভিযান আবারও হবে।’’

Advertisement

পানিট্যাঙ্কিতে মেচি নদীই দুই দেশের সীমান্ত হয়ে রয়েছে। সেখান থেকে অবৈধ খননের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ডাম্পার, ট্রাক বোঝাই করে বালি পাচার করা হয়। রাত বাড়লেই গাড়ির লাইন পড়ে মেচিতে। শব্দের দাপটে স্থানীয়দের রাতের ঘুম উড়ে যায়। অনেক বার পুলিশ, প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। ওই পাচারে তৃণমূল নেতা, পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশের যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ, সীমান্তের কাছে গিয়ে পুলিশের পক্ষেও অভিযান চালানোর সম্ভব হয় না। কারণ, তাতে আইনি জটিলতার প্রশ্ন ওঠে। সেই সুযোগে চালান ছাড়া বালি পাচার বেড়েছে। অবৈধ খননে মেচির গভীরতা বেড়েছে। নদী ভারতের দিকে অনেকটা সরে এসেছে বলে দাবি। ভূমি সংস্কার দফতর এসএসবিকে নিয়ে অভিযান চালানোর পরে আপাতত খনন বন্ধ রয়েছে বলে দাবি। পুলিশও সাহায্য করেছে।

মহকুমা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কিশোরীমোহন সিংহ বলেন, ‘‘প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। বালি পাচারের সঙ্গে যাঁরাই যুক্ত থাক, প্রশাসনের সক্রিয়তা জরুরি।"

অভিযোগ, পানিট্যাঙ্কির কাছে মেচিতে একটি লিজ় ঘাটের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু চালান ছাড়া খনন হচ্ছে বেশি। লিজ়ের নির্দিষ্ট জায়গা পার করেও নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খনন করা হচ্ছে। তাতে কর ফাঁকি বাড়ছে এবং বালি, পাথর বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে আবাসের ঘর তৈরি কাজ বেড়েছে। তাতে সমস্যায় পড়ছেন উপভোক্তারাও।

Advertisement
আরও পড়ুন