Jalpaiguri Municipality

সৈকতের বদলে কি নতুন উপ-পুরপ্রধান, চলছে জল্পনা 

সৈকত জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। সেই পদও সৈকতের থাকবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৯:০৮
জলপাইগুড়ি পৌরসভা।

জলপাইগুড়ি পৌরসভা। ফাইল চিত্র।

সব কিছু ঠিক থাকলে কিছু দিনের মধ্যেই নতুন উপ-পুরপ্রধান পেতে চলেছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। বর্তমান উপ-পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায় দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ফেরার। তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার উপ-পুরপ্রধান পদে তাঁকে সরিয়ে অন্য কাউকে সে পদে আনার বিষয়ে দলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের দাবি। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের আগেই সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সৈকত চট্টোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। সেই আবেদনের শুনানি এখনও হয়নি। আবেদনটিও ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি। কবে সেই আবেদনের শুনানি হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। এই পরিস্থিতিতে বেশি দিন অপেক্ষা করলে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হতে পারে, এমনটাই নেতৃ্ত্বকে বুঝিয়েছে তৃণমূলের একাংশ। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘একুশে জুলাই নিয়ে দল ব্যস্ত ছিল। এ বার সিদ্ধান্ত হতে পারে।’’

জলপাইগুড়ির পুর-রাজনীতির দেখভাল করা তৃণমূল নেতাদের দাবি, সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সৈকতের হাতে যে বিভাগগুলি ছিল, সেগুলি পুরপ্রধান নিজে দেখভাল করছেন। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রধান পাপিয়া পাল বলেন, ‘‘উপ-পুরপ্রধানের হাতে থাকা বিভাগের কাজ আমি দেখছি। নতুন কাউকে উপ-পুরপ্রধান করা হবে কি না, জানি না।’’ জলপাইগুড়ি শহর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উপ-পুরপ্রধানের অনুপস্থিতিতে কাজের সমস্যা হচ্ছে। পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দল সবই জানে। দল সিদ্ধান্ত নেবে।’’

Advertisement

সৈকত জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। সেই পদও সৈকতের থাকবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও সৈকতের আইনজবী সন্দীপ দত্ত বলেন, ‘‘সৈকত চট্টোপাধ্যায় মোটেই ফেরার নন। তিনি আইনের আশ্রয়ে রয়েছেন।’’ সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হলে তাঁর জায়গায় কাকে আনা হবে, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, দুই অভিজ্ঞ কাউন্সিলর পুরসভায় সৈকতের পদের দাবিদার।

বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর কটাক্ষ, ‘‘আমরা মনে করি না, সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কোনও পদ থেকে সরাবে। কারণ, অভিযুক্ত এবং বিতর্কিত হওয়াটা তৃণমূলে গৌরবের বলেইবিবেচিত হয়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement