Flood Situation at Bhutni

চরম বিপদসীমার উপরে গঙ্গা, স্রোতে ভাঙল রাস্তা ও কালভার্ট

সেচ দফতর সূত্রে খবর, এ দিন গঙ্গা ২৫.৩৫ মিটার উচ্চতার উপর দিয়ে বয়ছে। যা চরম বিপদসীমার উপরে।

Advertisement
অভিজিৎ সাহা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০০:৫৬
মালদহের ভুতনিতে প্লাবিত গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য শৌচাগার তৈরির কাজ চলছে।

মালদহের ভুতনিতে প্লাবিত গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য শৌচাগার তৈরির কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র।

গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হল মালদহের ভূতনিতে। শনিবার, ভূতনি চরে নতুন করে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। গঙ্গার জলের স্রোতে রাস্তা, কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় মানিকচক ব্লক সদরের সঙ্গে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ভূতনির। বিকালে মানিকচকে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ব্লক প্রশাসন, স্বাস্থ্য, সেচ এবং অন্যান্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। গঙ্গার জলে প্লাবিত গ্রামগুলির বাসিন্দাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর নির্দেশ দেন তিনি। ত্রাণ শিবিরগুলিতে আরও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, সুলভ শৌচাগার ও অস্থায়ী ঘর তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, “যে সমস্ত এলাকায় বাঁধে ফাটল ধরেছে, সেগুলিতে কাজ চলছে। ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা গ্রামগুলিতে নিয়মিত ঘুরছেন।”

Advertisement

সেচ দফতর সূত্রে খবর, এ দিন গঙ্গা ২৫.৩৫ মিটার উচ্চতার উপর দিয়ে বয়ছে। যা চরম বিপদসীমার উপরে। দফতরের কর্তাদের দাবি, শনিবার সন্ধের পর থেকে গঙ্গার জলস্তর স্থির রয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

এদিকে, ত্রাণ নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলে শনিবার মানিকচক ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা, কর্মীরা। বিজেপি নেতা তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘বানভাসি হলেও বিরোধী পরিবারগুলিকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না।” ত্রাণ নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মানিকচকের বিধায়ক তৃণমূলের সাবিত্রী মিত্র। তিনি বলেন, “রাজনীতির রং না দেখে, সমস্ত দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে।” চাঁদা তুলে প্লাবিত গ্রামের মানুষদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন সিপিএম নেতৃত্বরা। তাঁদের দাবি, ২৬ অগস্ট পর্যন্ত মানিকচকের বন্যায় অসহায় মানুষদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করা হবে।

মানিকচকের মতো ফুলহার নদীর জলে প্লাবিত রতুয়ার কাহালা, মহানন্দাটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম এ দিন নৌকায় পরিদর্শন করেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি ভাঙন ও নদীর জলে প্লাবিত গ্রামের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। ভাঙন রোধে তিনি বলেন, “ভাঙন রোধে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে কোনও চিঠি দেয়নি। যার জন্য কেন্দ্র ভাঙন রোধের কাজ করতে পারছে না।’’ পাল্টা রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘‘একাধিক বার আবেদন করেও কেন্দ্রের সরকার ভাঙন রোধে কোনও টাকা দিচ্ছে না। খগেনবাবুরা সব জেনেও মিথ্যে কথা বলছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement