High Fish price

নববর্ষে দাম বেড়েছে মাছের, চিন্তা হেঁসেলে

নীতেশ বর্মণ
শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:২৯
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নববর্ষের আগে ‘চোখ রাঙাচ্ছে’ মাছের দাম। তাতে চিন্তায় গৃহস্থবাড়ি।

বাংলা নজুন বছরের আগে শিলিগুড়ির বিভিন্ন খুচরো বাজারে মাছ মজুত শুরু করেছেন বিক্রেতাদের অনেকে। তাঁরা জানিয়েছেন, তার জেরে দাম বাড়ছে ইলিশ, চিংড়ি, পাবদা, কাতল থেকে শুরু করে অন্য মাছের। কিন্তু বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে পাতে বাঙালিয়ানার স্বাদ ভরপুর রাখতে কার্পণ্য করতে চাইছেন না কেউই। সে জন্য দাম বাড়লেও কেউ কেউ আগাম বিক্রেতাকে পছন্দের মাছের বরাত দিয়ে রাখছেন। কেউ আবার বাঙালি রেস্তরাঁর মেনু দেখছেন সমাজ মাধ্যমে।

পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার থেকেই চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। তাতে দামও বেড়েছে। ইলিশের দাম কেজি প্রতি কমবেশি ২০০ টাকা বেড়েছে। এ দিন শিলিগুড়ির খুচরো বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৩০০-১৫০০ টাকা দরে। চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে। অন্য মাছের ক্ষেত্রেও কেজি প্রতি ১০০-১৫০ টাকা দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বিধান মার্কেটের মাছ বিক্রিতা গুলাম ফারিদ জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখে মাছের চাহিদা বাড়বে। এ দিন থেকেই কিছুটা বিক্রি বেড়েছে। চাহিদা ভাল থাকলে দামও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘‘মাছের জোগান স্বাভাবিক রয়েছে। চাহিদা থাকলে দাম বৃদ্ধিও স্বাভাবিক।’’

পয়লা বৈশাখে আত্মীয়-পরিজনেরা আসবেন জংশন এলাকার রতন দাসের বাড়িতে। তিনি এ দিনই কয়েক রকম মাছের বরাত দিতে এসেছিলেন। রতন বলেন, ‘‘বাড়িতে নানা মাছের পদ রান্নার কথা ছিল। কিন্তু দাম শুনে চক্ষু চড়কগাছ। কোনও রেস্তরাঁতেই খাওয়াব। রান্নার ঝামেলা এবং টাকাও কিছুটা কম লাগবে তাতে।’’

শহরের ছোটবড় হোটেল, রেস্তরাঁয় নববর্ষে থাকছে বাঙালি হরেক পদ। সেই মতো সাজানো হয়েছে মেনু কার্ড। সেবক রোডের এক হোটেল মালিকের দাবি, রকমারি বাঙালি পদ রাখা হয়েছে। কিন্তু মাছ, মাংস থেকে নানা সামগ্রীর দাম বেড়েছে অনেকটা। তার পরেও ছাড় রাখা হচ্ছে। শহরের মিষ্টির দোকানগুলিতেও এ দিন থেকে ভিড় দেখা গিয়েছে। নানা রকম মিষ্টি, সন্দেশ থেকে মিষ্টি দই থাকছে। দামও কিছুটা বেড়েছে।

আরও পড়ুন