Darjeeling Orange

বাজার ছেয়ে যাবে দার্জিলিঙের কমলায়, আশা ব্যবসায়ীদের

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৭
শিলিগুড়ির বাজারে কমলালেবু।

শিলিগুড়ির বাজারে কমলালেবু।  ছবি:বিনোদ দাস।

শীত এখনও পুরোপুরি পড়েনি। এরই মধ্যে শিলিগুড়ির বাজারে কম করে হলেও আসতে শুরু করেছে দার্জিলিঙের কমলালেবু। তবে দাম বেশ চড়া। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে বিশি ভাগ লেবুই এখন নাগপুরের। সেগুলি শিলিগুড়ির বিভিন্ন বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দার্জিলিঙের কমলা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা ডজনে বিকোচ্ছে।

Advertisement

ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতাদের একাংশ নাগপুরের কমলাকেই দার্জিলিঙের বলে চালানোর চেষ্টা করছেন অনেক সময়। তবে অভিজ্ঞ ক্রেতারাও গন্ধ শুঁকে, চেখে দেখে তবেই বেশি করে কিনছেন। দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় দার্জিলিং লেবুর বিক্রিও তুলনায় কম। উদ্যানপালন দফতর সূত্রের খবর, আপাতত শুধু মিরিক থেকে কিছুটা কমলা শিলিগুড়িতে নামছে। দার্জিলিঙের কিছু ঝরে পড়া কমলাও বিক্রি হতে পারে। সাত-দশ দিনের মধ্যে পাহাড়ের কমলালেবু পুরোদমে বাজারে নামা শুরু হবে বলে দফতর সূত্রের খবর। বিধান মার্কেটের এক বিক্রেতা জানান, শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে পাহাড়ের যে কমলা নামছে তা কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ছে প্রতিদিন। বিক্রিও করতে হচ্ছে কিছুটা বেশি দামে। উদ্যানপালন দফতর সূত্রের খবর, এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি এবং চাষের উপযুক্ত পরিবেশ পেয়েছে দার্জিলিঙের কমলালেবু। বেশিরভাগে বাগানের গাছে তাই প্রচুর কমলা ধরেছে বলে চাষিরা জানিয়েছেন। ফল ঝরে না পড়লে, এ বার অনেক বেশি কমলালেবু বাজারে ওঠার আশা দেখছে দফতর।

দার্জিলিঙের সিটং, মিরিক থেকে সুখিয়াপোখরি, পুলবাজারে ভাল কমলার চাষ হয়। উদ্যোগ পালন দফতর সূত্রে খবর, সেখানকার বাগানগুলিতে প্রচুর ফল ধরেছে। ফলের গুটি শক্ত রয়েছে। রোগ পোকার আক্রমণ না হলে, বাজার ছেয়ে যেতে পারে এ বার। দফতরের দার্জিলিঙের আধিকারিক দেবজিৎ বসাক জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর থেকে পাহাড়ের কমলালেবু ঝরে পড়ার মূল কারণ হল জমিতে অণু-খাদ্যের অভাব। পাহাড়ের মাটিতে অম্লতা কমেছে। পুরনো বাগানগুলির পর্যাপ্ত পরিচর্যার অভাবে গাছের গোড়ায় আগাছা এবং পোকার বাসা হত। দফতর থেকে চাষিদের নানা ভাবে সচেতন করা হয়েছে। শুধু দার্জিলিঙেই ১,৫০০ হেক্টরের মতো জমিতে চাষ হয়েছে কমলার। দেবজিৎ বলেন, ‘‘কয়েক বছর থেকে দার্জিলিঙের কমলার ফল আকারে কিছুটা ছোটই হচ্ছে। তবে স্বাদে অতুলনীয়। সে সুনাম বজায় রাখতে রাজ্য সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement