Petrol pump strike

সরকারের কাছে বকেয়া ১৯ কোটি, প্রতিবাদে পেট্রল পাম্প ধর্মঘটের ডাক, জেনে নিন কবে, কোথায়

পঞ্চায়েত ভোট মেটার পর কেটে গিয়েছে ছ’মাসেরও বেশি সময়। অভিযোগ, এখনও তেল বিক্রির বকেয়া টাকা পাননি পাম্পের মালিকরা। তারই প্রতিবাদে পেট্রল পাম্প ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২১
representational image

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি

ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়িতে তেল ভরে দিয়েছিল বিভিন্ন পেট্রল পাম্প। কিন্তু অভিযোগ, সেই বাবদ প্রাপ্য টাকা এখনও পায়নি পেট্রল পাম্পগুলি। এরই প্রতিবাদে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘটের ডাক দিল নর্থ বেঙ্গল পেট্রল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। সে দিন সকাল ৬টা থেকে পর দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত উত্তরের ৮ জেলায় বন্ধ থাকবে সমস্ত পেট্রল পাম্প। এর জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির আশঙ্কা।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের সময় আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছিল রাজ্যে। যখন যেখানে প্রয়োজন, গাড়ি নিয়ে বাহিনী ছুটেছিল। কিন্তু গাড়ি চলতে দরকার পেট্রল বা ডিজ়েল। দস্তুর হল, কেন্দ্রীয় বাহিনী পাম্প থেকে তেল ভরে নেয় গাড়িতে। তার বদলে দেওয়া হয় মেমো। সেই মেমো সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে জমা দিয়ে টাকা পান পাম্পের মালিকরা। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট মেটার পর কেটে গিয়েছে ছ’মাসেরও বেশি সময়। অভিযোগ, এখনও তেল বিক্রির বকেয়া টাকা পাননি পাম্পের মালিকরা। তারই প্রতিবাদে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা থেকে উত্তরবঙ্গে ২৪ ঘণ্টা পেট্রোল পাম্প বন্ধের ডাক দিয়েছে পাম্প মালিকদের সংগঠন। সংগঠনের দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চলাচলের জন্য বিভিন্ন পাম্প যে তেল দিয়েছিল তার দাম এখনও মেলেনি। সব মিলিয়ে, এই বাবদ সরকারকে মেটাতে হবে ১৯ কোটি টাকা।

সংগঠনের সভাপতি শ্যামল পালচৌধুরী বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের আট জেলায় এই বকেয়ার পরিমাণ ১৯ কোটি টাকা। আমরা তেলের টাকা পাচ্ছি না। আবার একটা নির্বাচন আসছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী চলাচলের জন্য তেলের খরচ বাবদ টাকা এখনও মেলেনি। ফলে তা দেওয়াও যাচ্ছে না। কেন্দ্র টাকা দিলে দেওয়া হবে। এ বার আমরা কী ভাবে চলব? টাকা না পেলে আমরা লোকসভা ভোটে এ ভাবে তেল দেব কি না তা নিয়ে ভাবতে হবে।’’

এ দিকে পাম্প ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। সমস্যায় পড়তে পারেন সাধারণ মানুষও। তেল না পেলে যানবাহন কী করে চলবে, সেই প্রশ্নও উঠছে।

আরও পড়ুন
Advertisement