Tea Gardens Banarhat

দিশা নেই বৈঠকেও, আঁধারে চার বাগান

বকেয়া সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গত ৯ এপ্রিল মালিক পক্ষের সংগঠন ডিবিআইটি-র দফতরে বৈঠক হয়। অভিযোগ, বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত মেনে চলেননি চা বাগান কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
কৌস্তভ ভৌমিক
বানারহাট শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৪ ১০:২৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

প্রায় ছ’ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক শেষেও কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন বানারহাটের চারটি চা বাগানের বকেয়া-সহ অন্য সমস্যার সমাধান হল না বলেই দাবি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বের। গত কয়েক মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকার অধীনস্থ অ্যানড্রিউ ইউল পরিচালিত চারটি চা বাগানে শ্রমিক ও কর্মীরা বকেয়া পারিশ্রমিক সময় মতো না মেলার অভিযোগে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। দিন-দিন বড় আকার নিচ্ছিল সেই বিক্ষোভ। এর আগে, এই বকেয়া সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গত ৯ এপ্রিল মালিক পক্ষের সংগঠন ডিবিআইটি-র দফতরে বৈঠক হয়। অভিযোগ, বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত মেনে চলেননি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে শুরু হয়েছে লাগাতার আন্দোলন। সে সব সমস্যা সমাধানের জন্য শুক্রবার শিলিগুড়িতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।

Advertisement

যদিও শেষমেশ এই বৈঠক কোনও দিশা দেখাতে পারেনি। তৃণমূলের চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের নেতা তোবারক আলি বলেন, ‘‘আমরা বারবার অনুরোধ করেছিলাম, শ্রমিক এবং কর্মীদের বকেয়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিয়ে দিয়ে বাগান পরিচর্যা করা হোক। কিন্তু ওঁরা ঠিকঠাক বলতে পারেননি কবে শ্রমিক এবং কর্মীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। যেহেতু আদর্শ নির্বাচন বিধি চলছে, সে কারণে সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে।’’ চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের নেতা অজয় মাহালি বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন, নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত কিছুই করা যাবে না। আমরা শনিবার (আজ) শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করব।’

চা বাগানের মালিকপক্ষের সংগঠন ডিবিআইটি-র সম্পাদক শুভাশিস মুখোপাধ্যার অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘মালিক পক্ষ সব রকম ভাবে চেষ্টা করছেন বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।’’ ফলে, আগামী দিনে এই চার চা বাগানে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে জানাচ্ছেন কর্মীরা।

আরও পড়ুন
Advertisement