Balurghat

বালুরঘাট পুরসভার ১৪ লক্ষ টাকা গায়েব! ‘ভুয়ো’ চেক দিয়ে ধাপে ধাপে টাকা তোলার অভিযোগ

বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রই টাকা গায়েবের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে মোট ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:২৭
More than 14 lakh rupees disappeared from the bank account of Balurghat municipality

বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র। —নিজস্ব চিত্র।

পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে নানা অনিয়মকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে। সেই আবহেই এ বার পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠল। বালুরঘাট পুরসভার ১৪ লক্ষের বেশি টাকা তুলে নিয়েছেন অন্য কেউ! অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটে। কে বা কারা পুরসভার টাকা গায়েব করলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা।

Advertisement

বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র টাকা গায়েবের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে মোট ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। তিনটি চেকের মাধ্যমে সেই টাকা তুলেছে প্রতারকেরা। কিন্তু অশোকের দাবি, যে যে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছে, তা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউকে দেওয়াই হয়নি। তার পরও কী ভাবে ওই চেকগুলির মাধ্যমে টাকা তোলা হল, তা বুঝতে পারছেন না তিনি।

অশোকের দাবি, ৫৩৭৭১, ৫৩৭৭২ এবং ৫৩৭৭৩— এই তিনটি নম্বরের চেক ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে পুরসভার টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু চেকগুলি এখনও পুরসভার চেকবুকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অথচ তা দিয়েই ধাপে ধাপে ১৪ লক্ষের বেশি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কী ভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুরসভার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অশোক। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, ‘‘পুরো বিষয়টি জানিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। এক দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যদি পুরসভার টাকা ফেরত না আসে তবে আইনি পদক্ষেপ করব।’’ বালুরঘাট থানা, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।

যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের শাখায় এমন কোনও অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের আধিকারিক বিক্রান্ত কুমার জানান, তাঁরা বিষয়টি সদর দফতরে জানিয়েছেন। কী ভাবে ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন