West Bengal Budget

নানা সুবিধায় খুশি উত্তর, সঙ্গে কটাক্ষও

মালদহের দু’লক্ষ ৭০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের নাম কর্মসাথী পোর্টালে নথিভুক্ত। উত্তর দিনাজপুরে সেই সংখ্যা এক লক্ষের কিছু বেশি।

Advertisement
গৌর আচার্য 
শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১০
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কর্মসাথী পরিযায়ী শ্রমিক েপার্টালে নথিভুক্ত ভিন্ রাজ্যে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে আনার প্রস্তাব রাজ্য বাজেটে। অর্থাৎ, বাজেট অনুমোদিত হলে ভিন্ রাজ্যের হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিযায়ী শ্রমিকেরা চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের ওই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হলে উত্তরবঙ্গের কয়েক লক্ষ শ্রমিক উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রস্তাবে খুশি উত্তরবঙ্গ। পাশাপাশি, ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প নিয়েও আশার আলো দেখছেন উত্তরের পরিযায়ী শ্রমিকেরা।

Advertisement

মালদহের দু’লক্ষ ৭০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের নাম কর্মসাথী পোর্টালে নথিভুক্ত। উত্তর দিনাজপুরে সেই সংখ্যা এক লক্ষের কিছু বেশি। দক্ষিণ দিনাজপুরে ২৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত। কালিয়াচকের মতিউর রহমানের কথায়, ‘‘ভিন্ রাজ্যের সাধারণ সরকারি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা মেলে না। ফলে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ভিন্ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকেরা বিনা খরচে উন্নত পরিষেবা পেলে ভালই হবে।’’ রায়গঞ্জের মহম্মদ আলি, বালুরঘাটের দধি মোহান্তর বক্তব্য, ভিন্ রাজ্যে কেউ অসুস্থ বা দুর্ঘটনায় জখম হলে, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার অভাবে রাজ্যে ফিরতে বাধ্য হন। নতুন ব্যবস্থায় সেই সমস্যা মিটবে।

‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প নিয়ে খুশি উত্তরের শ্রমিকেরা। শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মহম্মদ বসিরুদ্দিন মুম্বইয়ে নির্মাণ শ্রমিক। তাঁর দাবি, একশো দিনের প্রকল্পের কাজ বন্ধ হওয়ার পর গ্রামে কাজের অভাব বেড়েছে। তিনি মনে করেন, রাজ্য সরকার ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পে ৫০ দিন কাজ দিলে কিছুটা সুবিধা হবে। কালিম্পংয়ের জিতু ভুটিয়া চেন্নাইয়ে জামা তৈরির সংস্থায় কর্মরত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এলাকায় কাজ পেলে ভাল হবে।’’ কোচবিহারে তিন লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম সরকারি ভাবে নথিভুক্ত। রাজ্যেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার প্রস্তাবে খুশি কোচবিহারও। পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ চেয়ারম্যান রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যবিমার ঘোষণায় পরিযায়ীরা উপকৃত হবেন। অনেকে অসুস্থ হলে, যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারেন না অর্থের অভাবে।’’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল সরকারি ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, সরকারি টাকা অপচয় করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোট আদায় করার চেষ্টা করছে। রাজ্য সরকার করোনার সময় ভিন্ রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরায়নি।’’ সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ভোট কেন্দ্র করে এ সব প্রতিশ্রুতি । প্রয়োগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী বা আয়ুষ্মান ভারত— দু’টোরই গুরুত্ব নেই। এ সব ভাঁওতা।’’

গোয়ালপোখরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানির বক্তব্য, ‘‘বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার তিন বছর ধরে রাজ্যের একশো দিনের প্রকল্পের শ্রমিকদের মজুরি বন্ধ করে রেখেছে। করোনার সময় বিজেপি-শাসিত রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকেরা অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement