Malda Medical College & Hospital

মেডিক্যালেই মশার ‘দাপট’, প্রশ্নে সাফাই

মেডিক্যাল চত্বরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকেই দুষেছেন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁদের দাবি, মেডিক্যালের যত্রতত্র বৃষ্টির জল জমে রয়েছে। এ ছাড়া মেডিক্যালের আনাচে-কানাচে ঝোপ, জঙ্গল রয়েছে।

Advertisement
অভিজিৎ সাহা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৩ ১০:২১
Surrounding of Malda Medical College

ডেঙ্গুর আতঙ্কের মাঝেই মালদহ মেডিকেলে ট্রমা কেয়ার ইউনিটের সামনে জমে আছে বৃষ্টির জল। ছবি স্বরূপ সাহা কপি অভিজিৎ সাহা

এ যেন প্রদীপের নীচেই অন্ধকার। মালদহ মেডিক্যালেই মশার দাপটে নাজেহাল রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। দিনের বেলাতেও অন্তর্বিভাগে মশা মারার কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে, দাবি স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের। মেডিক্যাল চত্বরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকেই দুষেছেন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁদের দাবি, মেডিক্যালের যত্রতত্র বৃষ্টির জল জমে রয়েছে। এ ছাড়া মেডিক্যালের আনাচে-কানাচে ঝোপ, জঙ্গল রয়েছে। অথচ, স্বাস্থ্য দফতর থেকেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বাড়ির আশে-পাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিচ্ছে।

Advertisement

যদিও মেডিক্যালে বৃষ্টির জল জমা রুখতে নিয়মিত সাফাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। মালদহ মেডিক্যালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা বলেন, “মেডিক্যালে নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করা হচ্ছে। নিকাশি নালা থেকে শুরু করে জঙ্গলও পরিষ্কার করা হয়। ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে।”

শুধু মেডিক্যালই নয়, বর্ষার মরসুমে বৃষ্টির জল নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। কারণ, এ বারের মরসুমের শুরু থেকেই জেলায় ডেঙ্গির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জানুয়ারি মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গিতে ৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সপ্তাহে এক থেকে দু’জন করে রোগী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এ দিন পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে জেলায় কোথাও কোনও হাসপাতালে রোগী ভর্তি নেই।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, “সপ্তাহের বুধবার করে জেলায় জল জমা রুখতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। জেলায় ফ্লিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement