১৫ লক্ষ টাকার বাজি উদ্ধার, দাবি পুলিশের

পড়ানোর আড়ালে বাড়িতে ‘মজুত’ বাজি, ধৃত গৃহশিক্ষক

বুধবার দুপুরে, বালুরঘাট শহরের চকভৃগু এলাকার পিডব্লিউডি পাড়ায় ওই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেই সব নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও আরও নানা বাজি উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৪৮
গৃহশিক্ষকের বাড়িতে থেকে উদ্ধার হওয়া বাজি। বুধবার। বালুরঘাটে।

গৃহশিক্ষকের বাড়িতে থেকে উদ্ধার হওয়া বাজি। বুধবার। বালুরঘাটে। —নিজস্ব চিত্র।

রঙচঙে দোতালা বাড়ি। ফুলের বাগানে সাজানো। ওই বাড়ির এক ঘরে বসে ছাত্র পড়ান গৃহশিক্ষক। তার পাশের বারান্দায় বাক্স ভর্তি প্রচুর নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুত ছিল বলে অভিযোগ। ছাদের ঘরেও ডাঁই করে রাখা মজুত একের পর-এক বাক্স ভর্তি শব্দবাজি উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ কর্মীদের চোখ ছানাবড়া।

Advertisement

বুধবার দুপুরে, বালুরঘাট শহরের চকভৃগু এলাকার পিডব্লিউডি পাড়ায় ওই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সেই সব নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও আরও নানা বাজি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরে শহরে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত শিক্ষক তপন নন্দী ওই শব্দবাজির বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছেন। বাজি মজুতের অভিযোগও অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, ‘‘অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক তপন নন্দীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত চলছে।’’

ছাত্র পড়ানোর আড়ালে ওই গৃহশিক্ষক গোপনে বাজির কারবার চালাতেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অবাক গৃহশিক্ষকের প্রতিবেশীরাও। শান্ত স্বভাবের ওই শিক্ষক ‘অবৈধ’ বাজির কারবারে যুক্ত বলে অভিভাবকদের অনেকেরই এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। পরে তারা আশঙ্কা করেন, মজুত বাজিতে কোন‌ও রকম ভাবে বিস্ফোরণ ঘটলে, পডুয়া ছেলেমেয়েদের কী হত!

এ দিন বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গৃহশিক্ষকের বাড়িতে হানা দেন। সে সময় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ছাত্র পড়াচ্ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ দিন বিপুল পরিমাণ বাজি উদ্ধার করে পুলিশের তরফে তা বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া চালাতে রাত হয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার বাজি আটক করা হয়েছে। বাড়িতে বাজি মজুত করে ওই গৃহশিক্ষক পাইকারি ও খুচরো দরে ব্যবসায়ীদের তা বিক্রি করতেন বলে আইসি দাবি করেন। অভিযুক্তের সঙ্গে কাদের লেনদেন ছিল, তার
খোঁজ চলছে।

আরও পড়ুন
Advertisement