বড়দিনে গির্জায় প্রার্থনা রায়মাটাং চা বাগানের শ্রমিকদের। —নিজস্ব চিত্র।
উৎসবের আবহে সে এক অন্য ছবি।
গির্জায় আসা অনেকের পরনেই পুরনো, মলিন পোশাক। উদ্বেগের ছাপ চোখমুখে। বড়দিনে বিভিন্ন শ্রমিক মহল্লার গির্জায় গিয়ে বাগান খোলারই প্রার্থনা করলেন কালচিনি ব্লকের বন্ধ বাগানের শ্রমিকরা।
ব্লকের খোলা বাগানগুলিতে অবশ্য উৎসবের মেজাজ ছিল পুরোদমেই। সান্টাক্লজ় সেজে সেখানে শিশুদের নানা উপহার দিতেও দেখা যায় অনেককে। বন্ধ বাগানের ছবি ছিল একেবারে অন্যরকম। সান্টাক্লজ়ের পোশাক দূর, নতুন পোশাকও কিনতে পারেননি অনেক পরিবারই। মুখভার বন্ধ কালচিনি ও রায়মাটাং চা বাগানের বাসিন্দাদের। সব ঠিক থাকলে ১২ ডিসেম্বর রায়মাটাং এবং ১৯ ডিসেম্বর খোলার কথা ছিল কালচিনি চা বাগানের। সেই খবরে মুখে হাসি ফিরেছিল শ্রমিকদের। কাজে যোগ দেওয়ার মানসিক প্রস্তুতিও অনেকে শুরু করেছিলেন। অন্য জায়গায় কাজে যাওয়া অনেকের বাগানে ফেরারও কথা ছিল। কিন্তু বাগান খোলার আগেই মামলা গড়ায় আদালতে। তার জেরে আর খোলেনি দু’টি বাগানই। তার জেরে বড়দিনে জৌলুস-হীন দুই বাগানের শ্রমিক মহল্লাই।
বাগান শ্রমিক আস্থা নার্জিনারি বলেন, ‘‘প্রায় দেড় বছর অপেক্ষার পরে বাগান খোলার কথা ছিল। সকলেই ভেবেছিলাম আনন্দ করে বড়দিন কাটাব। তা আর হল না। গির্জায় গিয়ে বাগান খোলারই প্রার্থনা করলাম সকলে।’’ বাগান শ্রমিক রাজু লোহার বলেন, ‘‘বাগান বন্ধ। তাই আজ এখানে উৎসবের কোনও জৌলুস আর নেই। পুরনো পোশাকেই গির্জাই গিয়েছি।’’