Mob Lynching

ছেলেরা গণপিটুনিতে ‘জড়িত’ মানতে পারছে না তিন পরিবার

স্থানীয়দের দাবি, তিন জনই ‘ভাল ছাত্র’ হিসাবে গ্রামে পরিচিত। এ ছাড়া, তিন জনই শান্ত স্বভাবের।

Advertisement
অভিজিৎ সাহা, শান্তশ্রী মজুমদার
মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ০৯:০৪
গণ পিটুনিতে গ্রেফতার যুবকের দিদি সহ গ্রামবাসী। দক্ষিণ দিনাজপুরের গোপালগঞ্জ এলাকার মধ্য রামকৃষ্ণপুর গ্রামে।

গণ পিটুনিতে গ্রেফতার যুবকের দিদি সহ গ্রামবাসী। দক্ষিণ দিনাজপুরের গোপালগঞ্জ এলাকার মধ্য রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। ছবি অমিত মোহান্ত।

কারও বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, কারও বাবা আবার কৃষিকাজ কিংবা কর্মকারের কাজ করেন। কলকাতার ছাত্রাবাসে পিটিয়ে খুনের অভিযোগের ঘটনায় এমনই পরিবারের তিন ছাত্র গ্রেফতার হওয়ায় হতবাক মালদহের আকন্দবেরিয়া, চিৎকল এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের সাহাপুকুর গ্রাম। শনিবার কার্যত হাঁড়ি চড়েনি ধৃত কার্তিক মণ্ডল, রাজেশ কর্মকার এবং রানা হেমব্রমের বাড়িতে। পিটিয়ে খুনের ঘটনায় ছেলেরা জড়িত থাকার ঘটনা মানতেই পারছেন না পরিবারগুলির সদস্যেরা।

Advertisement

কলকাতার ছাত্রাবাসে মোবাইল চোর সন্দেহে মারধরে নিহত হন ইরশাদ আলম। তাঁকে খুনের অভিযোগে ধৃতদের মধ্যে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে স্নাতকোত্তর কালিয়াচকের আকন্দবেরিয়ার কার্তিক মণ্ডল, গাজলের চিৎকলের রাজেশ কর্মকার এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের আদিবাসী প্রধান সাহাপুকুর গ্রামের বাসিন্দা রানা হেমব্রম গ্রেফতার হন। সকালেই তাঁদের গ্রেফতারের ঘটনা হস্টেল থেকে জানানো হয় পরিবারগুলিকে। তার পর থেকেই ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যেরা।

স্থানীয়দের দাবি, তিন জনই ‘ভাল ছাত্র’ হিসাবে গ্রামে পরিচিত। এ ছাড়া, তিন জনই শান্ত স্বভাবের। কার্তিকের বাবা ঘিরেন মণ্ডল চাষবাস, রাজেশের বাবা ধর্য্য বাড়িতে কর্মকারের এবং রানার বাবা মোহন হেমব্রম পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। রানার দিদি রীনা বলেন, ‘‘বাবা বাইরে কাজ করে সংসার চালান। ভাই অনেক কষ্টে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। ও এই কাজে জড়িত থাকতেই পারে না। কোনও ভাবে ওর নাম জড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ ভাল করে তদন্ত করে দেখলেই বুঝতে পারবে।’’

তাঁর সুরেই সুর মিলিয়েছেন মালদহের ঘিরেন ও ধর্য্যও। ঘিরেন বলেন, “গ্রামে কারও সঙ্গে ছেলে কোনও দিন ঝগড়া, মারামারি করেনি। সে ছেলেকেই পিটিয়ে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে, ভাবতেই পারছি না!” ধর্য্য বলেন, “ছেলে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় খুশি হয়েছিলাম। পড়তে গিয়ে ছেলের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারছি না!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement