Kali Puja 2023

চিনা আলোকে টেক্কা, বাজারে রমরমিয়ে বিকোচ্ছে নতুন নকশাদার মাটির প্রদীপ

শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট, মহাবীরস্থান, নয়াবাজার-সহ শপিং মলেও এ বার বিক্রি হচ্ছে মাটির প্রদীপ। চাহিদার কাছে জোগান হার মানছে। মৃৎশিল্পী থেকে বিক্রেতা, খুশি সকলেই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৫
image of light market

কালীপুজোর আগে চলছে মাটির প্রদীপের বিকিকিনি। — নিজস্ব চিত্র।

শহরের অলিগলি থেকে রাজপথে চিনা আলোর মাঝেই এ বার নিজের জায়গা করে নিয়েছে মাটির প্রদীপ। কিছুটা আকারে, কিছুটা রঙে পরিবর্তন। পুরনো সেই মাটির প্রদীপই নতুন রূপে বাজারে ছেয়ে গিয়েছে। ঝুলি ভরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

Advertisement

শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট, মহাবীরস্থান, নয়াবাজার-সহ শপিং মলেও এ বার বিক্রি হচ্ছে মাটির প্রদীপ। চাহিদার কাছে জোগান হার মানছে। মৃৎশিল্পী থেকে বিক্রেতা, খুশি সকলেই। গত কয়েক বছর ধরেই মাটির প্রদীপের ব্যবহার বেড়েছে। শুধু নিয়ম রক্ষা নয়, ঘর সাজাতেও ব্যবহার করা হচ্ছে মাটির প্রদীপ। পরিবেশ সচেতন নাগরিক এই প্রদীপকেই বেছে নিচ্ছেন।

চিনা আলো বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, শেষ বাজারে কেনা দামটুকু কোনও মতে উঠবে তাঁদের। এ বছর বাজার যে এত মন্দা যাবে, তা তাঁরা কল্পনা করতে পারেননি। চিনা আলোর ব্যবসায়ী সঞ্জিত ঘোষ বলেন, ‘‘এ বছর চিনা আলোর বাজার খুবই খারাপ। শুধু আমার একার নয়, সকলেরই। নতুন নকশার আলো আসছে। কিন্তু তার পরেও বিক্রি যৎসামান্য। আমরা এখন পাইকারি দামে আলো বিক্রি করছি। লগ্নির টাকা উঠে এলেই অনেক।’’ অন্য এক ব্যবসায়ী বাপি সাহা জানান, বড় বড় আবাসন বা বাড়িতে যে আলো ঝুলছে, তার বেশির ভাগই পুরনো। এ বার বিক্রি বেশ কম।

উল্টো দিকে মাটির প্রদীপের ব্যবসায়ী চন্দন বিশ্বাস বলেন, ‘‘গত এক-দু’ বছরে বাজার খানিকটা ভাল হয়েছে প্রদীপের। কিন্তু এ বার এতটা ভাল হবে, তা ভাবতে পারিনি। প্রদীপের নকশায় বদল হয়েছে, নানা রকম রং হয়েছে। মানুষ পছন্দ করছেন।’’ মৃৎশিল্পী অরবিন্দ পাল জানান, প্রতি বছরের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রদীপ কম তৈরি করা হয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে বিপুল চাহিদ।

অন্য দিকে, ক্রেতা তন্ময় সাহা বলেন, ‘‘মাটির প্রদীপই আমার পছন্দ৷ এটা পরিবেশবান্ধব৷ সবাইকে বলব প্লাস্টিক ফেলে মাটির প্রদীপ ব্যবহার করুন৷’’ আর্ভি সাহাও বলেন, ‘‘ মাটির প্রদীপের অনুভুতিটাই আলাদা।’’

আরও পড়ুন
Advertisement