unnatural death

নয়ানজুলির পাশে পড়ে ছেলের দেহ, বাড়িতে খবর দিতে গিয়ে দেখা গেল মৃত্যু হয়েছে মায়েরও

সোমবার বাইক নিয়ে এলাকারই একটি নয়ানজুলিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন পরিমল। আর ফেরেননি। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। সেই খবর বাড়িতে দিতে গিয়ে দেখা যায় মৃত্যু হয়েছে মায়েরও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ময়নাগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৯
representational image

— প্রতীকী ছবি।

নয়ানজুলির পাশে পড়ে ছেলের রক্তাক্ত দেহ। সেই খবর বাড়িতে তাঁর মাকে জানাতে এসে দেখা যায়, ঘরে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মা! রহস্যজনক ভাবে মা ও ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কী কারণে জোড়া মৃত্যু তা এখনও পরিষ্কার নয়।

Advertisement

ময়নাগুড়ির সুভাষনগরের বাসিন্দা পরিমল বর্মণ। বয়স আনুমানিক ৪০। পরিমলের বাবা নির্মল, মা সবিতা। পারিবারিক বিবাদের জেরে জলপাইগুড়িতে হোমগার্ডে চাকরিরত পরিমল তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকতেন সুভাষনগরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিমল সোমবার বাইক নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন এলাকারই একটি নয়নজুলিতে। কিন্তু তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে স্থানীয় কয়েক জন দেখতে পান, নয়ানজুলির পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে পরিমল। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

ছেলের মৃত্যুর খবর তাঁর বাড়িতে জানাতে আসেন স্থানীয়রা। বাইরে থেকে বার বার ডেকেও সাড়া না মেলায় পরিমলের বাড়িতে ঢোকেন তাঁরা। কিন্তু ভিতরে ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। দেখা যায়, পরিমলের মা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন ঘরের বিছানায়। কী কারণে মা ও ছেলের এ ভাবে মৃত্যু হল তা নিয়ে ব্যাপক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। জোড়া দেহ উদ্ধারের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকেরা। মা ও ছেলের মৃত্যুর কারণ জানতে দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। যদিও এলাকায় মা ও ছেলের এ ভাবে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কেন এ ভাবে চলে গেলেন মা ও ছেলে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা। তা হলে কি কেউ পরিকল্পনা করে দু’জনকে খুন করল? উত্তর এখনও অধরা। আত্মহত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন
Advertisement