Siliguri

মিছিলে পুষ্পবৃষ্টি মুসলিম বাসিন্দার

এ দিন ফুলবাড়ি, চম্পাসারি, হাশমি চক, বর্ধমান রোড, নকশালবাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই রামনবমীর শোভাযাত্রায় সামিল লোকেদের স্বাগত জানাতে রাস্তায় ছিলেন এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা।

শুভঙ্কর পাল
শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৪৪
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সকাল থেকেই ছিল ব্যস্ততা। এক দিকে যখন রামনবমীর মিছিলের আয়োজন চলছে, তখনই অন্য দিকে ফুল, জল জোগাড়ে ব্যস্ত ছিলেন রুস্তম, আবদুল, আমিররা। এলাকায় শোভাযাত্রা পৌঁছতেই পুষ্পবৃষ্টি করে, শরবত দিয়ে তাঁরা স্বাগত জানালেন রামভক্তদের। রবিবার রামনবমীতে শিলিগুড়ি শহর, মহকুমা এলাকায় সম্প্রীতির এমনই ছবি দেখা গেল। যা দেখে শহরবাসীর অনেকেই বলেন, ‘‘এটাই তো শান্তির শহর। সকলে একসঙ্গে সমস্ত উৎসবে মাতেন।’’

এ দিন ফুলবাড়ি, চম্পাসারি, হাশমি চক, বর্ধমান রোড, নকশালবাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই রামনবমীর শোভাযাত্রায় সামিল লোকেদের স্বাগত জানাতে রাস্তায় ছিলেন এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা। ফুলবাড়ি থেকে শোভাযাত্রা শুরু হতেই গাঁদা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে সকলকে তাঁরা স্বাগত জানান। মিছিলের লোকেদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায় এলাকার মুসলিম যুবকদের। চম্পাসারি মোড়ে রামনবমীর মিছিলে আসা লোকজনকে শরবত দেন এলাকার মুসলিম বাসিন্দারা। হাশমি চকেও কিছু মুসলিম যুবক ফুলের থালা হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। রামনবমী মহোৎসব সমিতির বিশাল শোভাযাত্রা সেখানে পৌঁছতেই ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানান তাঁরা। পরে পানীয় জলের বোতল তুলে দেন প্রত্যেকের হাতে।

তাঁদের মধ্যে থাকা মহম্মদ রুস্তম বলেন, ‘‘সম্প্রীতির শহর শিলিগুড়ি। এত গরমে সকলে হেঁটে আসছেন। তাঁদের জন্য জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারও যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে কারণে আমরাও দিনভর রাস্তায় থেকেছি।’’

বর্ধমান রোডে সেখানকার মসজিদ কমিটির তরফেও রামনবমীর শোভাযাত্রায় আসা লোকজনকে জল ও শরবত দেওয়া হয়। মসজিদ কমিটির তরফে মহম্মদ অ্যান্থনি বলেন, ‘‘প্রতি বছর আমরা রামনবমীর দিনে লোকজনকে জল, শরবত দিয়ে থাকি। সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে মিলে আমরা শান্তি-সম্প্রীতিতে একসঙ্গে থাকি। ঈদেও হিন্দুরা আমাদের শুভেচ্ছা জানান।’’ নকশালবাড়িতে মুসলিমদের তরফে মিষ্টিমুখ করানো হয়।

আরও পড়ুন