দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য ‘মানুষের দরজায়’ গিরীন্দ্র

ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, দশ হাজার বর্গ স্কোয়ার ফুটের বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে। যার ভিত ও ছাদের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এ জন্য খরচ হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৫২
কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়।

কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়। —ছবি : সংগৃহীত

কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ভবন ‘মুষ্ঠি ভিক্ষা’ করে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই মুষ্টি ভিক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলার চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। তিনি আবার ‘পুণ্যভূমি খলিসামারি পঞ্চানন বর্মা মেমোরিয়াল অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ট্রাস্টে’র সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন। সেই ট্রাস্টের হয়েই মুষ্টি ভিক্ষা শুরু করতে চলেছেন তিনি।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেছেন। সেখানে পঞ্চানন বর্মা সংগ্রহশালাতে আপাতত বাংলা ও ইতিহাস পড়ানো শুরুও হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার থাকতে মুষ্ঠি ভিক্ষা কেন করতে হচ্ছে? গিরীন্দ্রনাথ অবশ্য বলেন, “খলিসামারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি করা আমাদের স্বপ্ন। সরকার অনুমোদনও দিয়েছে। সরকার, সরকারের মতো উন্নয়নের কাজ করবে। আমরা তার মধ্যে যতটুকু পারি সহযোগিতা করতে চাই। অন্ততপক্ষে কাজ কিছুটা যেন এগিয়ে থাকে।”

ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, দশ হাজার বর্গ স্কোয়ার ফুটের বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে। যার ভিত ও ছাদের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এ জন্য খরচ হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। পুরো কাজের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। রবিবার থেকে ওই ভবনের ইট গাঁথার কাজের সূচনা হয়। সেখানে তৃণমূল নেতাদেরই দেখা যায়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, প্রাক্তন বিধায়ক হিতেন বর্মণ সেই সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গিরীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, এ বারে ওই এলাকা লাগোয়া দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সর্বস্তরের মানুষের কাছে মুষ্ঠি ভিক্ষা চাইবেন তিনি। সেই অর্থে সেখানে দশটির মতো শ্রেণিকক্ষ তৈরি হবে। যা পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এই কাজে এলাকার সমস্ত মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকেও সহযোগিতা পেয়েছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, খলিসামারিতে ২১ একর সরকারি জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই জমি লাগোয়া আরও ২৩ একর জমি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে। অঙ্গীকার পত্র বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়াও হয়েছে। কিন্তু এখনও ওই জমি সরকারি ভাবে হস্তান্তরিত হয়নি। সেখানে পদ্ধতিগত কিছু জটিলতা রয়েছে। খুব শীঘ্রই তা কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সফেলি বলেন, “ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জমি ও ভবন দেওয়ার জন্য অঙ্গীকার করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের ভবনের জন্য সরকারের কাছেও আর্জি
জানানো হচ্ছে।”

আরও পড়ুন
Advertisement