Fertilizer Black Market

আলু চাষের মরসুমে সারের ‘কালোবাজারি’

রাজ্যের বাকি অনেক জায়গার সঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলাতেও আলু চাষের জন্য ১০:২৬:২৬ সারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অভিযোগ, আলু চাষের মরসুম শুরু হতে না হতেই সেই সার নিয়েই শুরু হয়েছে কালোবাজারি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:১৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আলু চাষ শুরু হতেই সার নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে আলিপুরদুয়ারে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার জেলায় আসছেন রাজ্যের চার প্রতিনিধি। তবে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক জেলা কৃষি দফতরও। সোমবারও বৈঠক করে সার বিক্রেতাদের দেওয়া হয়েছে কড়া বার্তা।

Advertisement

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রায় ২১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। যার মধ্যে সামান্য হলেও জেলার কিছু কিছু জায়গায় সেই চাষ শুরুও হয়ে গিয়েছে। আর আলু চাষ শুরু হতেই ফালাকাটা-সহ জেলার বেশ কিছু জায়গায় সারের কালোবাজারি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

সূত্রের খবর, রাজ্যের বাকি অনেক জায়গার সঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলাতেও আলু চাষের জন্য ১০:২৬:২৬ সারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অভিযোগ, আলু চাষের মরসুম শুরু হতে না হতেই সেই সার নিয়েই শুরু হয়েছে কালোবাজারি। কিছু জায়গায় সর্বাধিক বিক্রয় মূল্যের (এমআরপি) থেকে বেশি দামে তা বিক্রি করা হচ্ছে। যদিও কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা তা মানতে নারাজ। আলিপুরদুয়ার জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা সুমিত বসাক বলেন, “সারের কালোবাজারি নিয়ে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। জেলার সর্বত্রই এই নিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।”

আলিপুরদুয়ারের কৃষি দফতর সূত্রের খবর, জেলায় প্রায় সাড়ে তিনশো জন সার ব্যবসায়ী বা ডিলার রয়েছেন। যার মধ্যে বড় ব্যবসায়ীরা রয়েছেন ফালাকাটায়। মঙ্গলবার রাজ্যে যে চার প্রতিনিধি জেলায় আসবেন, তাঁরা কোথায় যাবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে একাধিক জায়গায় গিয়ে কী ভাবে সার বিক্রি হচ্ছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পারেন বলে কৃষি দফতরের একটি সূত্রের খবর। যার মধ্যে ফালাকাটা থাকার সম্ভাবনা প্রবল। কৃষি দফতরের ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফালাকাটায় সার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন ওই প্রতিনিধিরা।

এ দিকে রাজ্যের চার প্রতিনিধি জেলায় আসার আগে এ দিন আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের প্রায় ৫০ জন সার ব্যবসায়ীর সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। সেখানে জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তাও ছিলেন। কৃষি দফতরের কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, এ দিনই প্রথম নয়, বিভিন্ন ব্লক ধরে গত কয়েক দিন ধরেই এমন বৈঠক হচ্ছে।

জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা জানিয়েছেন, এ দিনের বৈঠক থেকে সার ব্যবসায়ীদের সার বিক্রির ক্ষেত্রে ‘পস’ (পয়েন্ট অফ সেল) মেশিনের ব্যবহার, তাঁদের লাইসেন্স-সহ সারের ‘রেট চার্ট’ টাঙিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১০:২৬:২৬ সার ছাড়া, অন্য বিকল্প সার কত পরিমাণে ব্যবহার করে আলু চাষ করা সম্ভব, তা তাঁদের দোকানে আসা কৃষকদের বোঝাতেও ডিলারদের বলা হয়েছে। নিয়ম অমান্য করে কেউ সার বিক্রি করলে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এ দিনের বৈঠক থেকে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জেলার কৃষি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement