Balurghat Hili Railway Track

বালুরঘাট-হিলি রেললাইন নিয়ে তৎপরতা, রেলকে জমি এই মাসেই, দাবি

২০২৩ সালের মাঝামাঝি শুরু হয়েছিল জমি সমীক্ষা এবং অধিগ্রহণের কাজ। কিছু জমি ইতিমধ্যেই হাতে পেয়ে গিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাকি রয়েছে আরও বেশ কিছুটা।

Advertisement
শান্তশ্রী মজুমদার
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪ ০৯:০৯
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থেকে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত রেল করিডর নিয়ে ইতিমধ্যেই নতুন পদক্ষেপ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বালুরঘাট-হিলি রেললাইন এখনও সম্প্রসারণের কাজ শুরুই করতে পারেননি রেল। যদিও এখনও জমি হস্তান্তর বাকি রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, আগামী এক মাসের মধ্যে কিছু জমি প্রথম পর্যায়ে রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

২০২৩ সালের মাঝামাঝি শুরু হয়েছিল জমি সমীক্ষা এবং অধিগ্রহণের কাজ। কিছু জমি ইতিমধ্যেই হাতে পেয়ে গিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাকি রয়েছে আরও বেশ কিছুটা। তাই ধাপে ধাপে রেলকে কাজ করার ছাড়পত্র দিতে চায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ জানান, রেল আধিকারিকেরা ইতিমধ্যেই কিছু জমি চেয়েছেন সেতু এবং স্টেশন তৈরির জন্য। সেই জমি আগে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে কিছুটা জমি আগামী এক মাসের মধ্যে পুরোপুরি জেলা প্রশাসনের হাতে চলে আসবে। রেলের কাজ করতে বাধা থাকবে না।’’ নতুন লাইন তৈরি করতে দেড় হাজারেরও বেশি ‘প্লট’ থেকে জমি নিতে হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলার পর লোকসভা নির্বাচন এসে যায় বলে জমি অধিগ্রহণের কাজ থমকে ছিল বলে জানা গিয়েছে।

বালুরঘাট-হিলি রেললাইন নিয়ে তৎপরতা বেড়েছে রেলে তরফেও। রেল আধিকারিকেরা জানান, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই জমি হস্তান্তর শীঘ্রই করা হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। এই প্রকল্পে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করবে রেল। জমি অধিগ্রহণের পুরো টাকাই প্রশাসনের হাতে দেওয়া হয়েছে বলে রেল সূত্রে দাবি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘তহবিল নিয়ে কোনও সমস্যা না হওয়ারই কথা। প্রশাসন জমি দিলেই, আমরা প্রকল্পের কাজ শুরু করে দেব।’’

প্রশাসনের তরফে জমি দিতে অনেক দেরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বিজেপির গৌড়বঙ্গের নেতা শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের উচিত দ্রুত জমি দিয়ে দেওয়া।’’ তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘কাজ করতে চাইলে জমি সমস্যা হবে না। তবে বিধি মেনেই তো জমি অধিগ্রহণের কাজ হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement