গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
এখনও সরাসরি তদন্তভার নেওয়ার খবর নেই। তবে মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক হিংসাত্মক ঘটনায় খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। কয়েক দিন গোলমালের পরে শান্ত হতে শুরু করেছে ধুলিয়ান, সুতি, শমসেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। তবে কী ভাবে এ সব ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে এনআইএ তৎপর হয়েছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার এবং শনিবার শমসেরগঞ্জ, ধুলিয়ান এবং সুতিতে কোথায় কী ধরনের গোলমাল হয়েছে, কোথায় বাড়ি, গাড়ি পোড়ানো হয়েছে, কিংবা কোথায় লুট, প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেই খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। কোন এলাকায় কাদের উস্কানি কাজ করেছে, এনআইএ-র নিজেদের স্থানীয় সোর্স মারফত তা জানার চেষ্টা চলছে। যাবতীয় তথ্য জোগাড় করে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠানোর কথা এনআইএ-র গোয়েন্দাদের। তবে সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই গোলমালের ঘটনার তদন্তভার এনআইএ নিচ্ছে বলে কোনও খবর রাজ্য প্রশাসনের কাছে নেই। এনআইএর আধিকারিকেরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন, ওই হিংসাত্মক ঘটনার পিছনে নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই-এর হাত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা বহিরাগতেরা ওই সময়ে এ রাজ্যে ঢুকে গোলমালে জড়িয়ে ছিল কি না, তাও যাচাই করা চলছে।
এনআইএ সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গোপনে সক্রিয় পিএফআই। নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও তারা নিজেদের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে এনআইএ-র গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পরে বিভিন্ন রাজ্যে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল এনআইএ। কলকাতায় তাদের অফিসে তল্লাশি করে বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা। এ বার জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার বিভিন্ন হামলার ঘটনায় পিএফআই এবং কয়েকটি সমমনস্ক সংগঠনের হাত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অভিমত।
এর আগে রামনবমীকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের বিভিন্ন ঘটনা এবং কলকাতার বন্দর এলাকার দু’টি শিবিরের সংঘর্ষের ঘটনায়ও তদন্ত করেছে এনআইএ। এ দিকে, রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি থানা এলাকায় ওই গোলমালের ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১২টি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ওই হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ২২২ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ।