Nadia

প্রেমিকার ফেসবুক স্টেটাস দেখে ‘মনখারাপ’, নিজের ঘরে গলায় ফাঁস নিলেন নদিয়ার যুবক!

পরিবারের দাবি, কয়েক মাস যাবৎ এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল যুবকের। তারা এই সম্পর্কে আপত্তি করেনি। কিন্তু সুজয় আশঙ্কা করছিলেন যে, প্রেমিকা আর তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকবেন না।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৭
ফেসবুকে ‘অন্য ছেলের’ সঙ্গে প্রেমিকার ছবি দেখে সন্দেহ হয় যুবকের, তার পরেই আত্মহত্যা বলে দাবি পরিবারের।

ফেসবুকে ‘অন্য ছেলের’ সঙ্গে প্রেমিকার ছবি দেখে সন্দেহ হয় যুবকের, তার পরেই আত্মহত্যা বলে দাবি পরিবারের। —প্রতীকী চিত্র।

প্রেমিকাকে ভিডিয়ো কল করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার শান্তিগড় কলোনি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সুজল সাহা। বয়স হয়েছিল ২৩ বছর।

পরিবারের দাবি, কয়েক মাস যাবৎ এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সুজয়ের। তারা এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি করেনি। কিন্তু সুজয় বেশ কিছু দিন ধরে আশঙ্কা করছিলেন যে, প্রেমিকা আর তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকবেন না। কেন এমন আশঙ্কা? পরিবারের দাবি, সুজয়ের প্রেমিকা অন্য এক জনের সঙ্গে বেড়াতে যেতেন। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিতেন। ফেসবুকে স্টেটাসে এমনই একটি আপলোড করেন। তার পর থেকেই নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুজয়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণে সবাই বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন সুজয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই ছিলেন তিনি। এক প্রতিবেশী তাঁকে ডাকতে এসেছিলেন। কিন্তু বাড়িতে গিয়েই তাঁকে দেখে চমকে যান সেই প্রতিবেশী। তিনি দেখেন, গলায় দড়ি দিয়ে ঘরে ঝুলছেন সুজয়। তড়িঘড়ি অন্য প্রতিবেশীদের ডাকেন ওই যুবক। সুজয়ের পরিবারের কাছেও খবর পাঠানো হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। তারা এসে সুজয়ের নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের পরিবারের তরফে একটি লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। মৃতের কাকা সুশান্ত সাহার অভিযোগ, ‘‘স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে ভাইপোর প্রেম ছিল। বিশ্বাসঘাতকতা করে সে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় মেনে নিতে পারেনি আমার ভাইপো। তাই মানসিক অবসাদে ও আত্মহত্যা করেছে।’’ সুজয়ের মামা কানাই সাহার দাবি, ভিডিয়ো কলে প্রেমিকাকে আত্মহত্যার করবে বলে জানিয়েছিলেন সুজয়। কিন্তু মেয়েটি তা জানার পরেও কাউকে সজাগ করেনি। এ নিয়ে পুলিশি তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।

তদন্তের স্বার্থে সুজয়ের মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কল, মেসেজ ইত্যাদি খুঁটিনাটি দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও আটক বা গ্রেফতারির খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement