যানজটের জেরে সমস্যায় শহরবাসী। নিজস্ব চিত্র।
ধুলিয়ান ডাকবাংলো মোড় অর্থাৎ ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বাসস্ট্যান্ড থেকে ধুলিয়ান শহরের দূরত্ব ৩ কিমি। এই ৩ কিমি রাস্তা যেতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা। কখনও আবার সময় ২ ঘণ্টাও পেরিয়ে যায়।
এই রাস্তার বড় অন্তরায় টোটো ও রেল গেট। রেলের ডবল লাইন হওয়ার পর থেকে বেড়েছে ট্রেনের সংখ্যা, তার সঙ্গে সাগরদিঘি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা নিয়ে যাওয়ার কারণে কয়েক মিনিট পর পর রেল গেট বন্ধ করতে হয়। অন্যদিকে টোটোর সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার কারণে যানজট ধুলিয়ান ডাকবাংলো মোড় থেকে ধুলিয়ান শহর পর্যন্ত থাকে।
ডাকবাংলো মোড় থেকে ধুলিয়ান আসতে হলে রেলের গেট পার হয়ে আসতে হয়। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ও ধুলিয়ান স্টেশন সংলগ্ন জাতীয় সড়ক থেকে আসতে হলেও পার হতে হয় অপর একটি লেভেল ক্রসিং। ট্রেন আসার আগে থেকেই বন্ধ হয় রেল গেট। মুহূর্তেই সৃষ্টি হয় যানজট। ঘণ্টায় ঘণ্টায় এমনই হয়ে থাকে যানজট।
ধুলিয়ান শহর থেকে ছোট ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যান এই রাস্তা দিয়ে। তা ছাড়া ধুলিয়ান শহরে বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্সে রোগী আসেন, তাঁদেরও যানজটে পড়তে হয়। যানজট ও রেলগেট বন্ধ থাকার কারণে তখনও বিপদে পড়তে হয় রোগীকে।
অ্যাম্বুল্যান্স চালক প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। অনেক সময় ধুলিয়ান হাসপাতালে ঢুকতে টোটোর ভিড়ে পড়তে হয়। আবার ধুলিয়ান হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে গিয়ে রেল গেটে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এর কারণে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। এই যানজট থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় এক মাত্র ফ্লাইওভার ও টোটোর নিয়ন্ত্রণ।’’
স্থানীয় ব্যবসায়ী হাসেন সেখ বলেন, ‘‘ধুলিয়ান শহর যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তা, সেই রাস্তার দুই দিকে ছোট ছোট দোকান অনেক হয়েছে, অপরদিকে প্রচুর টোটোর সংখ্যা বেড়েছে। এখানে একটা ফ্লাইওভার যদি হয় তা হলে খুব উপকার হয় মানুষের।’’
এ প্রসঙ্গে শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তার কারণে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যানবাহন যদি নিদিষ্ট গতিতে যাতায়াত করে তা হলে কোনও সমস্যা হয় না। ধুলিয়ান শহর মানুষ নানা প্রয়োজনে যান, স্কুল, হাসপাতাল সহ ব্যবসার কাজে। ধুলিয়ান শহর যাওয়ার জন্য রেলপথ পেরিয়ে যেতে হয়। ট্রেন যাতায়াতের কারণে প্রায়ই রেল গেট বন্ধ করতে হয়, সেই কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। আমরা স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে ও জঙ্গিপুরের সংসদ রেল দফতরকে ফ্লাইওভার করার জন্য দাবি জানিয়েছি। শুনেছি রেল দফতর ফ্লাইওভার করার নির্দেশ দিয়েছে।’’
ধুলিয়ানের পুরপ্রধান ইনজামামুল ইসলাম বলেন, ‘‘যান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক আছে। তাঁরা ও সঙ্গে পুলিশ যান নিয়ন্ত্রণ করে। যাতায়াতের একটি রাস্তা থাকার কারণে মাঝে মাঝে যানজট হয়। আমরা বিকল্প একটি রাস্তা করার জন্য চেষ্টা করছি।’’