মৃত তহিদ আলি শেখ (বাঁ দিকে)। জখম মিনারুল হক। নিজস্ব চিত্র।
তখন প্রায় রাত সাড়ে ন’টা। গ্রামের নিস্তব্ধ পরিবেশে পর-পর দু’টো বোমার শব্দে চমকে উঠলেন অনেকে।
কালীগঞ্জ থানার দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের গহরাপোতা গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে বোমা মেরে, কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। মৃত ব্যক্তির নাম তহিদ আলি শেখ(৩৭)। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসক দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মিনারুল শেখ। তিনি ১৫৭ নম্বর সংসদের তৃণমূলের বুথ সভাপতি। এলাকায় দলের অন্দরে কোন্দলের জেরেই এই কাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী তথা ওই গ্রামের বাসিন্দা মেম্বারি শেখের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতেই দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলের মইনুদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে শুক্রবার কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। নিহত তহিদ আলির ছেলে আমিনুল শেখের কথায়, ‘‘ আমার বাবা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। যারা ওকে মেরেছে তারাও তৃণমূল কর্মী। আমাদের কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। রাজনৈতিক কারণেই খুন মনে হয়।’’
কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এর সঙ্গে দলের কোনও অন্তর্দ্বন্দ্বের যোগ নেই। গ্রাম্য বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।’’ বৃহস্পতিবার রাতে মোটরবাইকে দেবগ্রাম বাজার থেকে তহিদ ও মিনারুল ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। কৃষ্ণনগর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তহিদ আলির মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মেম্বারি শেখ ও ধৃত মইনুদ্দিন শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। মেম্বারির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন তহিদ আলি ও মিনারুল শেখ। দলের একাংশের ধারণা, বৃহস্পতিবার আসলে মেম্বারি শেখকে খুনের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু দুষ্কৃতীরা অন্ধকারে গাড়ি বুঝতে না পেরে তহিদদের গাড়ির উপর বোমা মারে।