tmc meeting at Sonatala

সোনাতলায় অধীরের পাল্টা সভা তৃণমূলের

নদিয়ার অন্য কিছু এলাকার পাশাপা‌শি কৃষ্ণনগর ২ ব্লকেও তৃণমূলের স্থানীয় কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা কংগ্রেস ও সিপিএমে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ধুবুলিয়া শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৩ ০৭:২৫
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সভায় গিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বেশ কিছু তৃণমূল নেতাকর্মী। কাল, ৩০ মে সেই মাঠেই পাল্টা সভা করতে চলেছে তৃণমূল। তার জন্য গত দু’তিন দিন ধরে বাস ভাড়া থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। সেই সভায় অন্য দল থেকে নেতাকর্মীরা তাদের দলে যোগ দেবেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি।

নদিয়ার অন্য কিছু এলাকার পাশাপা‌শি কৃষ্ণনগর ২ ব্লকেও তৃণমূলের স্থানীয় কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা কংগ্রেস ও সিপিএমে যোগ দিয়েছেন। গত ২২ মে সোনাতলার মাঠে অধীর চৌধুরীর সভায় কৃষ্ণনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ওয়াহেদ আলি মণ্ডল, নওপাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হাফিজুল হক চৌধুরী এবং নওপাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আরও দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সোমা খাতুন মোল্লা ও সেরিনা বিশ্বাস তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগ দেন। দল বদলান নওপাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই তৃণমূল সদস্য ফকির শেখ ও কুশাই হালদার। এঁদের সঙ্গে ধুবুলিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল সদস্য সুবারন বিবিও তাদের দলে যোগদান করেন বলে কংগ্রেসের দাবি। সেই সঙ্গে বেশ কিছু স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মী তো ছিলেনই।

Advertisement

ঘটনাচক্রে, যেখানে এই দলবদল হয়, সেই এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। ফলে অনেকেই মনে করছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ভাঙন তৃণমূলের পক্ষে বড় ধাক্কা। ব্লক তৃণমূল সূত্রের খবর, সেই ধাক্কা সামলাতেই ওই একই মাঠে সভা করার সিন্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

সেই সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কৌশানী মুখোপাধ্যায় ও দেবাংশু ভট্টাচার্যের। অধীর চৌধুরীর সভায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোক হয়েছিল বলে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি। তৃণমূলের সভায় বিশ হাজার মানুষের ভিড় হবে বলে দলীয় সূত্রের দাবি।

ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গোটা কৃষ্ণনগর ২ ব্লক থেকে লোক নিয়ে আসা হবে। তার জন্য ৪০টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। টোটো থাকবে প্রায় শ’দুয়েক। থাকবে বেশ কিছু অটোও। জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম সাহার কটাক্ষ, “তৃণমূল ক্রমশ এমনই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে যে আমাদের সভার পাল্টা সভা করতে হচ্ছে ওদের। এটা দেউলিয়া রাজনীতি ছাড়া কিছু নয়।”

যদিও পাল্টা সভার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের কৃষ্ণনগর ২ ব্লক কমিটির সহ-সভাপতি সুব্রত ঘোষের দাবি, “এই সভার প্রধান উদ্দেশ্য হল কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা এবং রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পকের কথা মানুষের সামনে তুলে ধরা। সে দিন

রেকর্ড ভিড় হবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement