ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। — ফাইল ছবি।
সরকারি মেলার আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই বিধায়কদের। আর তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শুক্রবার বহরমপুরে উদ্বোধন হয়েছে মুর্শিদাবাদ খাদি মেলার। সরকারি এই অনুষ্ঠানে বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি গিয়েছে। কিন্তু সেই আমন্ত্রণপত্রে বিধায়কদের নাম নেই। এ নিয়েই মেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে জেলা প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধায়ক হুমায়ুন। পরে ভুল স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন আয়োজকরা। বহরমপুরের বিজেপি বিধায়কের দাবি, পরিকল্পিতভাবে বিজেপিকে এড়াতেই এই কৌশল।
বহরমপুরের ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে এ বছরের জেলা খাদি মেলার উদ্বোধন হয়েছে। চলবে আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে হুমায়ুন বলেন, “এই জেলার ২২জন বিধায়ক রয়েছেন। জেলায় এত বড় একটি মেলা হচ্ছে। আপনারা যে আয়োজকদের কার্ড ছাপিয়েছেন, সেখানে আমরা এ টুকু সম্মান আশা করতেই পারি সরকারি কর্তাদের কাছে। কার্ডে বিধায়কদের নাম রাখা উচিত ছিল। আমাদের নামগুলি পর্যন্ত কার্ডে দেওয়া হয়নি। একটি কার্ড এমন ভাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন আমরা যোগ্য ব্যক্তিই নই! আমরা কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।’’
বিধায়ক যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন সেখানে উপস্থিত রাজ্য খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁ, খাদি বোর্ডের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার নিমাই চাঁদ হালদার-সহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। হুমায়ুনের মন্তব্যের জেরে দৃশ্যতই অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয় প্রশাসনিক কর্তাদের। সঙ্গে সঙ্গে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুলে’র জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন। খাদি বোর্ডের সিইও নিমাইচাঁদ এর পরই মঞ্চ থেকেই বিধায়কের উদ্দেশে বলেন, “এই ত্রুটির জন্য প্রশাসন সত্যিই দুঃখিত। ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল আর যাতে না হয় সে দিকে নজর থাকবে।’’ বিধায়করা তাঁদের কাছে শ্রদ্ধেয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিজেপি অবশ্য এতে অন্য ‘খেলা’ দেখছে। বিরোধীদের দাবি, মুর্শিদাবাদে দু’জন বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন। তাঁদের এড়ানোই ছিল উদ্দেশ্য। আর তা করতে গিয়ে বাদ পড়ে গিয়েছেন তৃণমূলের বিধায়করাও! বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, ‘‘জেলায় দু’জন বিজেপি বিধায়ক। বিধায়কদের আমন্ত্রণপত্রে নাম উল্লেখ করতে গেলে দু’জন বিজেপি বিধায়কের নামও চলে আসত। অতএব, শ্যাম রাখি না কুল! তাই পরিকল্পনা করে এই নোংরামো করেছে রাজ্য সরকার।’’