—নিজস্ব চিত্র।
কিশোরী ‘প্রেমিকা’র সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় নিজেদের অন্তরঙ্গ ছবি নেটমাধ্যমে পোস্ট করে দিয়েছিলেন এক যুবক। অভিযোগ, সেই ‘অপরাধে’ তাঁকে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়ে কান ধরে ওঠবস করালেন মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ানের তৃণমূলের নেতারা। এমনকি, আপত্তিকর ছবি-ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলার জন্য ওই যুবককে দিয়ে মুচলেকাও লিখিয়ে নেন তাঁরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ধুলিয়ান পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুরে এই ঘটনার পর থেকেই ঘরছাড়া যুবক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের দাবি, এক কিশোরীর সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কৃষ্ণপুরের যুবক গোলাপ শেখ। দু'জনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলি ভিডিয়োও করে রাখেন গোলাপ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’জনের মধ্যে অশান্তি হওয়ার পর সে ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে পোস্ট করে দেন তিনি। ওই ছবি-ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই গোলাপকে তৃণমূল কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। এর পর তাঁকে কান ধরে ওঠবস করান তৃণমূল নেতারা। আইনের পথে না গিয়ে কী ভাবে এই নিদান দিলেন তৃণমূল নেতারা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
যুবককে কান ধরে ওঠবস করানোর কথা অস্বীকার করেছেন ধুলিয়ানের টাউন তৃণমূলের সভাপতি তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর মেহেবুব আলম। তাঁর দাবি, “এগুলো কেউ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এক মহিলাকে ঘিরে ঝামেলা চলছিল। অনেক আগে একটি গ্রাম্য বিবাদ হয়েছিল। তা নিয়ে পৌনে ২ মাস আগে গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়েছিল। তবে গ্রাম্য বিচারে সেটার মীমাংসাও হয়েছে। শুনেছি, ছেলেটি কয়েকটি নগ্ন ছবি ভাইরাল করেছে। এ নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।” যদিও গ্রামের বাসিন্দাদের পাল্টা দাবি, “গ্রামে এ রকম ঘটনা দেখিনি। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। আমরা অভিযুক্ত ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
এ বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। ফরাক্কার এসডিপিও আসিম খান বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। শনিবারই মামলা রুজু করা হচ্ছে। অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সালিসি সভায় কি হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে।”