TMC vs. BJP

‘প্রধানের প্রেমে বাড়ি ছেড়ে বিজেপিতে’! বৌ ফেরাতে রাস্তা অবরোধ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর

গত ৪ মার্চ বাড়ি ফিরে অরবিন্দ দেখেন স্ত্রী নেই। জানতে পারেন, স্ত্রী বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের প্রেমে পড়ে ঘর ছেড়েছেন, সেই সঙ্গে দলও। মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। অগত্যা পথ অবরোধ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ ১৮:২৩
— Representative Image

— প্রতীকী চিত্র।

স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই তৃণমূল করেন। স্ত্রী তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা। অভিযোগ, সেই বৌ প্রেমে পড়েন পঞ্চায়েত প্রধানের। এ পর্যন্ত অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। ‘কাহানি মে ট্যুইস্ট’ এর অব্যবহিত পরেই। পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত। আর প্রেমের জোয়ারে বাড়ি এবং দল— দুই-ই ছেড়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। বৌ ফেরাতে অগত্যা অনুগামীদের নিয়ে পথ অবরোধ করলেন নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা অরবিন্দ মণ্ডল। যদিও অরবিন্দের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান রন্টু সর্দার।

Advertisement

দোগাছি পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান রন্টু। এমনই অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী অরবিন্দ মণ্ডলের। কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, পদ্মশিবির থেকে বৌকে উদ্ধার করতে তৃণমূলের মন্ত্রীর কাছেও দরবার করেছেন। যদিও বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান এই অভিযোগ মানতে নারাজ। রন্টুর দাবি, রাজনৈতিক ভাবে বদনাম করার জন্য তৃণমূল এ সব চক্রান্ত করছে।

অরবিন্দ বলেন, ‘‘বিজেপির প্রধান আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। ভুল বুঝিয়ে আমার স্ত্রীকে দলবদলেও বাধ্য করা হয়েছে। প্রধান আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আমি থানায় অভিযোগ করেছি। কোনও কিছুতেই কাজ না হওয়ায়, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। অবিলম্বে বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করে আমার বৌকে উদ্ধার করে দিতে হবে প্রশাসনকে।’’ অরবিন্দের দাবি, রন্টুর পরিবার রয়েছে। তা-ও তিনি অরবিন্দের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। অরবিন্দ বিচার চাইতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের কাছেও। এ বিষয় নিয়ে উজ্জ্বল বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি আমার কাছে এসেছিলেন। ওঁর সমস্যার কথা জানিয়েছেন।’’

২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে দোগাছি পঞ্চায়েতটি বিজেপি দখল করে। বিজেপি পায় ১৬টি আসন‌, তৃণমূল পায় ১২টি আসন।‌ ওই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জালালখালির আসন থেকে তৃণমূলের প্রতীকে এ বার জয়ী হয়েছিলেন অরবিন্দের স্ত্রী। স্বামী অরবিন্দ পেশায় সব্জি ব্যবসায়ী। প্রতি দিন কলকাতায় এসে সব্জির ব্যবসা করেন।‌ ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। গত ৪ মার্চ রাতে বাড়ি ফিরে অরবিন্দ দেখেন, বৌ নেই!

যদিও অরবিন্দের তোলা সমস্ত অভিযোগকেই উড়িয়ে দিয়েছেন রন্টু। তিনি বলেন, ‘‘এই সব ভুল অভিযোগ। এ রকম কিছুই‌ হয়নি। বিজেপি পঞ্চায়েত গঠনের‌ পর থেকেই তৃণমূল আর কাজ পাচ্ছে না। তাই এ সব রটাতে হচ্ছে।’’ ‌

আরও পড়ুন
Advertisement