TMC-BJP

তৃণমূল-বিজেপি জোটের পঞ্চায়েত দখল মুর্শিদাবাদে, ভাগাভাগি হল প্রধান ও উপপ্রধানের পদ

বিজেপির সমর্থনে ভরতপুরের জজান গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। পঞ্চায়েত প্রধান হলেন শাসকদল থেকে। আর উপপ্রধানের পদ পেল বিজেপি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ভরতপুর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৩ ২২:১৪

—নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন পর্বে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলকে হটাতে বাম-বিজেপি বোঝাপড়া নিয়ে আলোচনা চলছিলই। সেই আবহে শাসকদল এবং বিজেপির মধ্যে সমঝোতাও প্রকাশ্যে চলে এল। বিজেপির সমর্থনে ভরতপুরের জজান গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। পঞ্চায়েত প্রধান হলেন শাসকদল থেকে। আর উপপ্রধানের পদ পেল বিজেপি।

Advertisement

জাতীয় স্তরে বিরোধী দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে ‘ইন্ডিয়া’ নামে জোট গড়েছে। তাতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দুই দলকেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বাম, কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, বিজেপি এবং তৃণমূল যে আলাদা কিছু নয়, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। পাল্টা তৃণমূলের যুক্তি, স্থানীয় বাস্তবতার উপর ভিত্তি করেই এই ধরনের জোট হয়ে থাকে। তবে এই ধরনের জোট না হওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্ব।

ভরতপুর ১ ব্লকের ১৮ আসন বিশিষ্ট জজান গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল পাঁচটি করে আসনে জয়ী হয়। নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হন ছ’টি আসনে। সিপিএম এবং কংগ্রেসের দখলে যায় একটি করে আসন। এই ত্রিশঙ্কু বুধবার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া ছিল। সেখানে বিজেপির পাঁচ সদস্যের সমর্থনে প্রধান নির্বাচিত হন তৃণমূলের রিঙ্কু খাতুন। অন্য দিকে, তৃণমূলের সমর্থনে উপপ্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির মাধব মার্জিত।

এর প্রেক্ষিতে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘যাহাই বিজেপি, তাহাই তৃণমূল। এ তো মুকুল রায় অনেক দিন আগেই বলে দিয়েছেন। প্রতি মুহূর্তে তার প্রমাণ মিলবে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপি আলাদা কোনও দল নয়। শুধু মাত্র আলাদা প্রতীক ব্যবহার করে এরা।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলা চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তগুলি একদমই স্থানীয় স্তরের। তবে না হলেই ভাল হত।’’

আরও পড়ুন
Advertisement