JNM Hospital

জেএনএম-এর থ্রেট সিন্ডিকেট, সরব পড়ুয়ারা 

এত দিন মুখ বুজে সব সহ্য করলেও এ বার মুখ খুলতে শুরু করেছেন এমবিবিএস পড়ুয়া থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা। তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত ‘স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটি’-র বিরুদ্ধেও ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠছে।

Advertisement
সুস্মিত হালদার
কল্যাণী শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৯
কল্যাণীর কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতাল।

কল্যাণীর কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

সন্দীপ ঘোষের অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসদের সমর্থন জানিয়ে স্বাস্থ্যভবন ও অন্যত্র প্রশাসনের কাছে ই-মেল করতে সাধারণ পড়ুয়াদের বাধ্য করেছিল থ্রেট সিন্ডিকেটের দাদারা। এমনকি অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে অধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণের প্রতিবাদ করতেও তাঁদের বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

এত দিন মুখ বুজে সব সহ্য করলেও এ বার মুখ খুলতে শুরু করেছেন এমবিবিএস পড়ুয়া থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা। তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত ‘স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটি’-র বিরুদ্ধেও ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠছে। জেএনএম সূত্রের খবর, বকলমে ওই কমিটির মাথায় থাকা শেখ অখিল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে নানা ‘অলিখিত আইন’ মানতে বাধ্য করা থেকে পরীক্ষা নিয়ে সমস্যায়, এমনকি ফেল করানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। এই সব অভিযোগ জমা পড়তেই মঙ্গলবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করেছেন জেএনএম কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে বলে নোটিসও জারি হয়েছে।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে বই তুলতে না দেওয়া, হস্টেল চত্বরে হাফ প্যান্ট ও হাফ হাতা গেঞ্জি পরা নিষিদ্ধ করা, প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ছাদে জামাকাপড় শুকোতে না দেওয়ার বা বাড়ি যেতে গেলেও কমিটির অনুমতি নিতে বাধ্য করার মতো নানা ‘আইন’ জারি করেছেন থ্রেট সিন্ডিকেটের নেতারা। ইচ্ছা থাকলেও সবাইকে বাসুদার ক্যান্টিনে খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না, জুনিয়র বয়েজ় ক্যান্টিন বা ইন্টার্ন হস্টেলের ক্যান্টিনে খেতে বাধ্য করা হয়। কে কোন ক্যান্টিনে খাবে, তা-ও সিন্ডিকেটের দাদারাই ঠিক করে দেন। সাধারণ পড়ুয়াদের বঞ্চিত করে নিজেদের অনুগামী ক্লাস প্রতিনিধিদের নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়াও নিত্যদিনের ঘটনা।

জেএনএমের এক শিক্ষকের কথায়, “এই ধরনের হুমকি সংস্কৃতি এখানে অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। কিন্তু অখিলদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারত না। বর্তমানে থ্রেট সিন্ডিকেটের নেতারা গুটিয়ে যেতেই পড়ুয়ারা সাহস করে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।” অভীক-অনুগত শেখ মহম্মদ অখিলকে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। ফোন ধরেননি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি বিচিত্রকান্তি বালাও। তবে অখিল-ঘনিষ্ঠ আলিম বিশ্বাস দাবি করেন, তিনি এই সব কাজের সঙ্গে কোনও দিনই যুক্ত ছিলেন না।

জেএনএমের অধ্যক্ষ মণিদীপ পাল বলেন, “পড়ুযারা যে সব অভিযোগ করেছেন, তার সব কটিই তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement