প্রতীকী ছবি।
জেলা তৃণমূল সংগঠন নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। শুধু হুমায়ুন কবিরের বিতর্কিত ভিডিয়োই নয়, করোনা বিধি উঠলেই জেলা সংগঠন আগাপাস্তালা পরিবর্তন হওয়ার কথা জেলার বিভিন্ন কার্যালয়েই আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। একুশের বিধানসভা ভোটে জিতে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল বহরে বেড়েছে। দলে বিধায়কের সংখ্যাও যথেষ্ট বেশি তার মধ্যে দু’জন মন্ত্রী। আবার এত বড় জেলাকে সদর শহর থেকে নিয়ন্ত্রণ করাও মুশকিল হবে বলে মনে করেন জেলা নেতার পাশাপাশি একাংশ রাজ্য নেতাও।
তাই আগামীদিনে সব কিছু সুনিয়ন্ত্রিত রাখতে এক পদ এক ব্যক্তি নীতি রূপায়ণের পাশাপাশি তৃণমূল ভবন মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটিকেও ঢেলে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। সেক্ষেত্রে জেলায় সংগঠনকে উত্তর দক্ষিণ দুই ভাগে ভাগ করে দিতে পারেন রাজ্য নেতারা। আগামীদিনে গুরুত্ব পেতে পারেন দলের মহিলা নেত্রীরাও, দাবি সূত্রের। তবে এক পদ এক ব্যক্তি নীতি রূপায়ণ হওয়ায় খুশি এক জেলা নেতার দাবি, “একজন নেতা যদি দলের নানান কমিটির পদ সামলান আবার যদি মন্ত্রীও হন তাহলে কোনও কাজই ঠিকমত হয় না”
আবার সংগঠনে কারও একাধিপত্য না বেড়ে যায় তা নিয়ন্ত্রণ করতেও দলে একাধিক পদ তৈরির পাশাপাশি সকলকেই কিছু কিছু ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে বলে খবর। আবার অন্য দল থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন যাঁরা তাঁদের শনাক্ত করে দলে ফেরানো হলেও দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত ও নির্বাচনের সময় তৃণমূলের প্রবল সমালোচকদের দলে টানার ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে জেলার উঁচু থেকে নীচু সর্বত্র। পাশাপাশি পুরভোটের দিকে নজর রাখতে জেলার সাতটি পুরসভা এলাকাতেই জনসংযোগে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নেতাদের। তবে প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে কোনও আলোচনা এখনও শুরু হয়নি বলেই সুত্রের খবর। তবে সংগঠন নিয়ে এখনই কিছু আলোচনা হচ্ছে না জানিয়ে জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন “পুলিশ জেলা হিসাবে এই জেলা ভাগ হয়েছে। এক্ষেত্রেও হতে পারে। তবে এসব ব্যাপার দলনেত্রী যা জানার জানে। আমি কিছু জানি না।” দলের কোর কমিটির আহায়ক খলিলুর রহমান বলেন “এটা একান্তই পার্টির সাংগঠনিক বিষয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের দলনেত্রী।”