সহ সভাধিপতি কি জিল্লার
Rubia Sultana

সভাধিপতির দৌড়ে এগিয়ে রুবিয়াই

রাজ্য কমিটি থেকেই সবুজ সঙ্কেত দিয়ে বলে দেওয়া হয়েছিল কাদের নাম নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সেই নির্দেশ মতই রুবিয়া ও জিল্লার রহমানের নামের প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছেন বিধায়কেরা।

Advertisement
বিমান হাজরা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৫৮
rubia sultana

রুবিয়া সুলতানা। —নিজস্ব চিত্র।

মুর্শিদাবাদ জেলায় নয়া সভাধিপতির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে সুতি ২ ব্লকের রুবিয়া সুলতানা। তিনি সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের ভ্রাতৃবধূও। সহকারী সভাধিপতি হওয়ার পথে এগিয়ে হরিহরপাড়ার জিল্লার রহমান। তিনি সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত হোসেনের ছেলে।

Advertisement

সোমবার জঙ্গিপুরে তৃণমূলের দুই সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান ও সভাপতিদের সঙ্গে জেলার দলীয় বিধায়কদের বৈঠকে জেলা পরিষদের দুই কর্মকর্তার নাম প্রস্তাব করা হলে প্রায় সর্বসম্মতিক্রমেই তা গৃহীত হয় সে ভাবে কোনও বিতর্ক ছাড়াই। এমনকি টুঁ শব্দটিও করেননি বহু হুমায়ুন কবীরও।

সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটি থেকেই সবুজ সঙ্কেত দিয়ে বলে দেওয়া হয়েছিল কাদের নাম নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সেই নির্দেশ মতই রুবিয়া ও জিল্লার রহমানের নামের প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছেন বিধায়কেরা। দুটি নামের প্রস্তাবে কিছুটা অবাক দলের কিছু নেতা। তবে তৃণমূল সূত্রেই খবর, এক জনকে বাছা হয়েছে জেলার উত্তর অংশ থেকে, আর এক জনকে দক্ষিণ অংশ থেকে। দু’জনেই বয়সে নবীন এবং ভাবমূর্তি উজ্জ্বল, তাই দলের ভালই হবে বলে তৃণমূল নেতাদের দাবি।

জঙ্গিপুরের সাংগঠনিক সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘৫ অগস্ট কলকাতায় রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো বিধায়কদের নিয়ে সোমবার বৈঠক হয়েছে। সেখানেই আলোচনার পরে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের নাম প্রাথমিক ভাবে এ দিন আলোচনা করে ঠিক করা হয়েছে। সেই নাম রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হবে। রাজ্য কমিটি ও দলনেত্রী চূড়ান্ত ভাবে ঘোষণা করবেন পদাধিকারীদের নাম।” তবে জেলা পরিষদের দুই কর্মকর্তা হিসেবে কাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে খলিলুর তা বলতে না চাইলেও অনেক বিধায়কই এদিন তা প্রকাশ করে দিয়েছেন তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহলে। তার ফলে সে নাম এসেছে সংবাদ মাধ্যমের কাছেও।

পিকনিকের মেজাজে জঙ্গিপুরের মঙ্গলজনে সাংসদ খলিলুর রহমানের বাড়িতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহকারি সভাধিপতি নির্বাচনের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন ২০ জন দলীয় বিধায়কের মধ্যে ১৮ জন। ছিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসও। তবে ছিলেন না ডোমকলের বিধায়ক জাফিরুল ও লালগোলার বিধায়ক মহম্মদ আলি। এ দিন বেলা দুটো নাগাদ মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে শুরু করা হয় বৈঠক। ভোজের মেনু ছিল ভাত, ইলিশ মাছ, খাসির মাংস, দু’টি তরকারি ও দই, চাটনি, মিষ্টি। বৈঠকের শুরুতে একাধিক নাম নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সে সব নিয়ে চর্চা বেশি দূর এগোয়নি।

আরও পড়ুন
Advertisement