Income Tax Raid

পতাকা বিড়ির কারখানায় রহস্যজনক লাল ট্রলি! বহু শ্রমিক আটকে, মাল নষ্টের আশঙ্কায় ক্ষোভ

সকাল ৮টা নাগাদ পতাকা বিড়ির অফিসে আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা হানা দেন। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত মূল অফিসের সামনে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে কারখানায় কাজে যোগ দিতে আসা অনেক শ্রমিক।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
সামশেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:২৫
Row over income tax department’s Raid in Beedi factory in Murshidabad

মুর্শিদাবাদের পতাকা ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের মূল বিড়ি কারখানা ঘিরে রেখেছেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। বাইরে দাঁড়িয়ে শ্রমিকরা। —নিজস্ব চিত্র।

মুর্শিদাবাদের পতাকা ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের মূল বিড়ি কারখানা ঘিরে রেখেছেন সিআইএসএফ জওয়ানেরা। ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। ভিতরে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের বাইরে বেরোনোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁরা ঢুকতে পারছেন না ভিতরে। এ নিয়ে হইচই বিড়ি কারখানার শ্রমিকদের। অন্য দিকে, কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের ওই বিড়ি কারখানার মূল অফিসেও হানা দিয়েছেন আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ পতাকা বিড়ির অফিসে আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা হানা দেন। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত অরঙ্গাবাদে পতাকা বিড়ির মূল অফিসের সামনে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে কারখানায় কাজে যোগ দিতে আসা প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। বিড়ির মুন্সীদের দাবি, প্রায় ২ কোটি কাঁচা বিড়ি আটকে রয়েছে কারখানায়। আয়কর বিভাগ অনুমতি না দিলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাকি সেগুলি ‘নষ্ট’ হয়ে যাবে। লটনগঞ্জ থেকে আসা এক বিড়ির মুন্সী আকবর আলির কথায়, ‘‘কারখানার সঙ্গে যাই হোক, আমাদের বিড়ি নিয়ে ভিতরে যেতে দেওয়া হোক। নইলে এত টাকার কাঁচা বিড়ি নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের আত্মহত্যা করতে হবে।’’ বাসুদেবপুর থেকে আসা বিড়ির মুন্সী মনসুর আলি বলেন, ‘‘আয়কর দফতর ওদের কাজ করুক। আমাদের তাতে কিছু বলার নেই। কিন্তু অনুরোধ করব, আমাদের কাঁচা বিড়িগুলি ফ্যাক্টরিতে পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।’’ যদিও আয়কর দফতরের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া বা পদক্ষেপের খবর সামনে আসেনি।

Advertisement

বুধবার ৬টি গাড়িতে অরঙ্গাবাদে পৌঁছছেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। সকাল ৮টা নাগাদ পতাকা বিড়ির মূল অফিসের ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। তখন দেখা যায়, দুই সিআইএসএফ জওয়ান একটি বড় লাল রঙের ট্রলি ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে কারখানায় ঢুকছেন। তার ভিতরে কী আছে বা কী কারণে আনা হয়েছে তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখার কাজ করছেন আধিকারিকরা।

এর আগে জঙ্গিপুরের বিধায়ক তথা বিড়ি কারখানার মালিক জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। এবার রাজ্যের বিড়ি শিল্পের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান পতাকা বিড়ির অফিসে আয়কর হানায় চাঞ্চল্য বিড়ি কারবারিদের মধ্যে।

আরও পড়ুন
Advertisement