RSP to TMC

পঞ্চায়েত প্রধানের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

প্রধান রেশমা খাতুনও জানিয়ে দিলেন, ‘‘স্বামীকে কেউ অপহরণ করেনি। দু’জনেই আরএসপি ছেড়ে নিজেদের ইচ্ছায় যোগ দিয়েছি তৃণমূলে।’’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৪ ১০:০৯

Sourced by the ABP

বিরিয়ানি খেতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতারাতি গায়েব আরএসপি-র প্রধানের স্বামী। দু’দিন খোঁজ ছিল না তাঁর।

Advertisement

স্বামীকে অপহরণের গল্প সাজিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের নালিশ পেয়েছিল পুলিশ। শুক্রবার রাতের ঘটনা। অভিযোগ ছিল, চাঁদের মোড়ে এক রেস্তোরাঁয় প্রধানের স্বামী রফিকুল ইসলাম বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিলেন কয়েক জনের সঙ্গে। তারপর থেকে নিখোঁজ তিনি। স্ত্রী সুতি ১ ব্লকের আরএসপি প্রধান রেশমা খাতুন স্বামী নিখোঁজের অভিযোগ জানান পুলিশের কাছে।৪৮ ঘন্টার মধ্যেই অবশ্য স্ত্রী ও স্বামীর খোঁজ মিলল তৃণমূলের সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের বাড়িতে। ইমানির হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে প্রধান ও তাঁর স্বামী ততক্ষণে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।

প্রধান রেশমা খাতুনও জানিয়ে দিলেন, ‘‘স্বামীকে কেউ অপহরণ করেনি। দু’জনেই আরএসপি ছেড়ে নিজেদের ইচ্ছায় যোগ দিয়েছি তৃণমূলে।’’

সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস বলেন, “রবিবার বিকেলে আমাকে ফোন করে প্রধানের স্বামী রফিকুল। জিজ্ঞেস করে, ‘দাদা কোথায় আছেন? একটু দরকার আছে।’ আমি বলি, ‘বাড়িতেই আছি, চলে এস।’ কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রধান রেশমা ও তাঁর স্বামী সহ জনা কয় আত্মীয় বাড়িতে এসে জানান তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতে চান। আমি তৎক্ষণাত সুতি ১ ব্লকের দলের সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে ডেকে পাঠাই। কারণ ব্লক সভাপতি হিসেবে তাঁর সম্মতি দরকার ছিল। সভাপতি সম্মতি দিলে সন্ধেতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন এবং পতাকা ধরেন। অপহরণের গল্প তারা কেন বলেছেন, আমার তা জানা নেই।”

সুতি ১ ব্লকের সাদিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৭টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ১০টি, বিজেপি ৮টি, কংগ্রেস ৬টি, সিপিএম ২টি ও আরএসপি ১টি আসন পায়।বিজেপি সহ বিরোধীদের সমর্থনে প্রধান হন আরএসপি-র রেশমা খাতুন, উপপ্রধান হন বিজেপির আশিস দাস।

সাদিকপুর গ্রামেই বাড়ি সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অসিত দাসের। তিনি বলেন, “অপহরণের গল্প রটানো হয়েছিল। ওই পরিবার বরাবরই আরএসপি-র সঙ্গে যুক্ত। স্বভাবতই প্রধান ও তাঁর স্বামী যে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, সে সন্দেহ আমাদের আসেনি।এখন তো পরিষ্কার, তৃণমূলে যোগ দিতেই এই গল্প ছড়ানো হয়েছিল। তবে প্রধান দল ছাড়লেও এখনও ১৮ জন সদস্য তৃণমূলের বিরুদ্ধেই রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ওই পঞ্চায়েতে নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement