Badshahi Road Renovation

বাদশাহি সড়কের কাজ শেষ হতে তিন মাস

রাস্তাটি হলদিয়া-ফরাক্কা বাদশাহি সড়কের বড়ঞা থানার কুলি থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার ফুটিসাঁকো পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৮ কিমি সড়ক।

Advertisement
কৌশিক সাহা
কান্দি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

বছর দু'য়েক আগে রাস্তার এমনই বেহাল অবস্থা ছিল যে যাতায়াত করতে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব একাধিক আন্দোলনের পরে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করে পূর্ত দফতর। প্রায় দেড় বছর ধরে রাস্তা সংস্কারের কাজ হচ্ছে। শেষ হতে এখনও সময় লাগবে প্রায় সাড়ে তিন মাস এমনই দাবি পূর্ত দফতরের কর্তাব্যক্তিদের।

Advertisement

রাস্তাটি হলদিয়া-ফরাক্কা বাদশাহি সড়কের বড়ঞা থানার কুলি থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার ফুটিসাঁকো পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৮ কিমি সড়ক। একই সঙ্গে ওই রাস্তার কুলি থেকে মোড়গ্রাম চেকপোস্ট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩৬ কিমি রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতরের বহরমপুর হাইওয়ে ভিডিশন ২ বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিক অনুপকুমার মাইতি বলেন, ‘‘কুলি-ফুটিসাঁকো রাস্তাটি সংস্কারের কাজ আগে শুরু হয়েছিল, তাই ওই রাস্তার কাজ আগে শেষ হবে। সদ্য সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে কুলি-মোড়গ্রাম চেকপোস্ট পর্যন্ত রাস্তার কাজ। এটা সময় লাগবে।’’

ওই রাস্তাটি কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগের অলিখিত জাতীয় সড়কে পরিণত হয়েছে। দিন রাত অবিরাম ওই সড়ক দিয়ে ট্রাক, ডাম্পার যাতায়াত করে। একই সঙ্গে দূরপাল্লার সরকারি ও বেসরকারি বাস যাতায়াত করে। পর্যটকদের পছন্দের রাস্তা এই বাদশাহি সড়ক। এ ছাড়াও একাধিক বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেছেন।

রাস্তাটি দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণে খানাখন্দ শুধু নয়, জায়গায় জায়গায় ডোবায় পরিণত হয়েছিল। স্থানীয় পরিবহণ ব্যবসায়ীরা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেন। তৎকালীন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে ২২ কিমি রাস্তা পদযাত্রা হয়। পরে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করে পূর্ত দফতর।

২০২৩ সালের এপ্রিলে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সাত মিটার চওড়া রাস্তার পরিবর্তে ১০ মিটার চওড়া হচ্ছে রাস্তাটি। রাস্তার চওড়া করতে গিয়ে ছোট কালভার্টগুলি নতুন করে নির্মাণ করতে হচ্ছে। রাস্তা যাতে ধসে না যায় সেই দিকে নজর দিয়ে নদী ও জলা এলাকায় পাথর দিয়ে ধার বাঁধানোর কাজ হচ্ছে বলেও দাবি পূর্ত দফতরের কর্তাব্যক্তিদের।

বর্তমানে ওই রাস্তার সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বেশ কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ বাকি। রাস্তা শেষ হওয়ার দিকে তাকিয়ে এলাকার মানুষ।

আরও পড়ুন
Advertisement