১৫০ সার ব্যবসায়ীকে শো-কজ়
Fertilizer

সারের দাম এখনও চড়া, চিন্তা বাড়ছে

সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন ডেইজি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের ডোমকলের সভাপতি আনারুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা সরকার নির্ধারিত দামে সার বিক্রি করছি এবং সংগঠনের অন্য সদস্যদের সরকার নির্ধারিত দামি সার বিক্রি করার অনুরোধ করেছি।’’

Advertisement
সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৫১
চড়া দামে সার কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন মুর্শিদাবাদের কৃষকেরা।

চড়া দামে সার কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন মুর্শিদাবাদের কৃষকেরা। ফাইল চিত্র।

শীতকালীন আনাজের দাম খুবই কম পাচ্ছেন চাষিরা। অন্য দিকে চড়া দামে সার কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন মুর্শিদাবাদের কৃষকেরা। তাঁদের অভিযোগ ফুলকপি এবং বাঁধাকপি পিসপ্রতি চার পাঁচ টাকা দরে করে বিক্রি হচ্ছে। লঙ্কা ৮-৯ টাকা টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পালংশাক লোকজন নিতে চাইছেন না। অথচ কালোবাজারি জেরে ১০:২৬, ডিএপি, পটাশের মতো প্রয়োজনীয় সারের দাম আকাশছোঁয়া। চাষীদের অভিযোগ, এক শ্রেণীর অসাধু সার ব্যবসায়ী সারের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

তাঁরা জানাচ্ছেন, ১০:২৬ সারের দাম বস্তা প্রতি ( ৫০ কেজির বস্তা) দাম ১৪৭০ টাকা সেখানে। সেই সার দু হাজার টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। পটাশ সারের দাম বস্তা পিছু ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা। কিন্তু সেই সার ২১০০- ২৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির ডিএপি সার কৃষকদের পছন্দ। সেই সার বাজারে অমিল। যা পাওয়া যাচ্ছে তাও ২০০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ তার দাম ১২৫০ থেকে ১৩৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুর্শিদাবাদের কৃষকেরা।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, ‘‘আমরা এ বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছি। নানা অভিযোগে দেড়শো জন সার ব্যবসায়ীকে শো-কজ় করা হয়েছে, ৪০ জন সার ব্যবসায়ীর অস্থায়ী ভাবে সার বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দু’জন সার ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে লাগাতার নজরদারি চালানো হচ্ছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।"

কৃষকদের প্রতি তাঁর আবেদন, ‘‘আধারকার্ড দিয়ে সার কিনবেন। সার কেনার পরে তার রিসিট নেবেন। এছাড়া এমআরপি-র থেকে বেশি দামে সার কিনবেন না। সারের বেশি দাম চাইলেই আমাদের জানাবেন।’’

সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন ডেইজি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের ডোমকলের সভাপতি আনারুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা সরকার নির্ধারিত দামে সার বিক্রি করছি এবং সংগঠনের অন্য সদস্যদের সরকার নির্ধারিত দামি সার বিক্রি করার অনুরোধ করেছি।’’ বহরমপুরের সারের ডিলার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘‘সারের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। সারের ন্যায্য দাম নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এখন সারের চাহিদাও নেই। সার এসে পড়ে থাকছে।’’ জেলা কৃষি দফতরের এক কর্তা জানান, আমরাও বসে নেই। নিয়মিত সার ব্যবসায়ীদের দোকান, অফিস নজরদারি চালানো হচ্ছে। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলেই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সারের বেশি দাম নেওয়া সহ নানা কারণে প্রায় ২০০ জন সার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement