— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা থানায় মাদক পাচারকারী সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চরবাবুপুর পূর্বপাড়া এলাকা থেকে ৩ কেজি ২০০ গ্রাম হেরোইন এবং ৩০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার স্থানীয় বাসিন্দা সন্তু শেখ। ৩২ বছরের ওই যুবককে গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিশেষ আদালতে হাজির করানো হলে সন্তুকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই জানান, স্থানীয় মাদক চক্রের ‘ক্যারিয়ার’ হিসেবে কাজ করতেন সন্তু নামে ওই যুবক। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রথম এই অঞ্চল থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হল।’’ বস্তুত, গত কয়েক মাসে এই সীমান্ত থেকে হেরোইন এবং ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত হলেও ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা প্রথম। উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, চরবাবুপুর সীমান্ত দিয়ে পাচারের গোপন তথ্য পেয়ে পুলিশ ওত পেতে ছিল। রাত দেড়টার দিকে অন্ধকারে কয়েক জনকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে পিছু ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশকে দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও সন্তু ধরা পড়ে যান। তাঁর সহযোগীরা অবশ্য অন্ধকারের সুযোগে পালিয়ে যান। তল্লাশিতে ওই যুবকের কাছ থেকে হেরোইন এবং ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত স্বীকার করেছেন, আগেও পুলিশ এবং বিএসএফের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মাদক পাচার করেছেন তিনি। এ বার ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশে ওই মাদক পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় দিনমজুর সন্তু রাতে মাদক কারবারিদের ‘ক্যারিয়ার’ হিসাবে কাজ করতেন।
ইয়াবা ট্যাবলেটের মূল উৎস তাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে চোরাপথে ভারতে নিয়ে আসা হয় এই মাদক। এখান থেকে বাংলাদেশে পাচার হয়। অন্য দিকে, ভগবানগোলা সীমান্তে গত এক বছরে হেরোইন ও ফেনসিডিল-সহ ১২ কোটির বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম।