Illegal drugs

নাকা তল্লাশি চলাকালীন জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার ৬৪ কেজি গাঁজা, ধৃত ‌২

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে তাদের কাছে খবর এসেছিল পাচারকারীরা একটি ছোট লরিতে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা কোচবিহার থেকে নদিয়ায় পাচারের চেষ্টা করছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ফারাক্কা শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০১:২৮
মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে।

মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। — নিজস্ব চিত্র।

নাকা তল্লাশি চলাকালীন শঙ্করপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হল প্রায় ৬৪ কেজি গাঁজা। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে এই গাঁজা পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল বলে রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। ধৃতদের নাম সুশীল কুণ্ডু এবং সাধন রায়। ধৃতদের বাড়ি নদিয়ায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে তাদের কাছে খবর এসেছিল পাচারকারীরা একটি ছোট লরিতে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা কোচবিহার থেকে নদিয়ায় পাচারের চেষ্টা করছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। সেই মতো তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল। পুলিশ গাড়িটিকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে শঙ্করপুর এলাকায় তল্লাশির জন্য আটকায়। পাচারকারীরা বিপুল পরিমাণ গাঁজা লোহার স্ক্র্যাপের নীচে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা করছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছেন, গাঁজার এই ‘কনসাইনমেন্ট’ উত্তর–পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য থেকে কোচবিহারে আনা হয়েছিল। এর পর তাঁরা সেগুলি ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন এলাকায় পাচারের চেষ্টা শুরু করেন। ধৃতেরা দীর্ঘ দিন ধরে গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবার বহরমপুরে এনডিপিএস আদালতে তাঁদের হাজির করানো হয়।

এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা সুপার আনন্দ রায় বলেন, “জেলা পুলিশ দীর্ঘ দিন ধরে মাদক পাচার আটকাতে অভিযান চালাচ্ছে। এই ঘটনা তার বৃহত্তর প্রমাণ। জেলা পুলিশের এই প্রয়াস নিরন্তর চলবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement