Murshidabad Murder

বাবার দেহ উদ্ধারের পাঁচ দিন পর উদ্ধার ছেলে ও হবু বৌমা! কী বলছে মুর্শিদাবাদের পুলিশ?

হাসপাতালে সামনের রাস্তায় প্রৌঢ়ের দেহ ফেলে চম্পট দিয়েছিলেন অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জন। সে দিন থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না খুন হওয়া ব্যক্তির ছেলে ও হবু বৌমারও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:১৩

—ফাইল চিত্র।

হাসপাতালে সামনের রাস্তায় প্রৌঢ়ের দেহ ফেলে চম্পট দিয়েছিলেন অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জন। সে দিন থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না খুন হওয়া ব্যক্তির ছেলে ও হবু বৌমারও। ঘটনার চার দিন পর মঙ্গলবার রাতে সূত্র মারফত খবর পেয়ে দু’জনকেই উদ্ধার করল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। ছেলের পরিবারের অভিযোগ ছিল, বাবাকে যাঁরা খুন করেছেন, তাঁরাই অপহরণ করেছেন ছেলে ও হবু বৌমাকে। যদিও পুলিশের দাবি, খুনের ঘটনার সঙ্গে ওই ব্যক্তির ছেলে ও তাঁর প্রেমিকার উদ্ধারের ঘটনা নিতান্তই কাকতালীয়। মেয়েটি নাবালিকা হওয়ায় আগেই রুজু হয়েছিল অপহরণের মামলা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে থেকে মিনারুল শেখের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, একটি মারুতি ভ্যানে করে তিন জন এসে রাতেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে দেহ ফেলে রেখে যায়। নিহত মিনারুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মিনারুল শেখের ছেলের সঙ্গে গ্রামেরই একটি মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা দু’জন দু’জনকে বিয়ে করতে চান। কিন্তু তাতে বাধ সাধেন মেয়ের বাড়ির লোকেরা। এই ব্যাপারে কথা বলার জন্য মিনারুলকে বৃহস্পতিবার সকালে ডেকেও পাঠান তাঁরা। তার পরেই দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের স্ত্রী অভিযোগ করেন, মেয়ের বাড়ির লোকেরাই এই খুন করেছেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তার পর থেকে চার দিন কেটে গিয়েছে। মিনারুলের ছেলে ও তাঁর প্রেমিকার কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি থানাতেও জানানো হয়। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছিল হরিহরপাড়া থানায়। বিষয়টি নিয়ে ক্রমেই ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছিল। অবশেষে চার দিন পর দু’জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। নাবালিকা উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে খুনের ঘটনার কোনও যোগ নেই বলেই পুলিশের দাবি। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘নাবালিকা বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। সেই মর্মে তদন্ত শুরু করে নাবালিকা ও আরও এক জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মনিরুল খুনের ঘটনার সঙ্গে এই মামলা সম্পূর্ণ পৃথক।’’

আরও পড়ুন
Advertisement