ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই যুবক। নিজস্ব চিত্র।
অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল অ্যাম্বুল্যান্সের চালক-সহ এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কায়। নির্যাতিতা নাবালিকা মালদহ জেলার চকসুদাপুর এলাকার বাসিন্দা। ফরাক্কায় মামারবাড়িতে ঘুরতে এসেছিল সে। ১৫ বছরের ওই নাবালিকা এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও।
নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সে ফরাক্কা এনটিপিসি-র কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন ওই নাবালিকাকে অভিযুক্তরা জোর করে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলে বলে অভিযোগ। শুক্রবার সন্ধ্যা পর থেকে রাত পর্যন্ত অ্যাম্বুল্যান্সটি ফরাক্কা এলাকায় ঘোরাঘুরি করলে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের। তাঁরা তাড়া করলে নির্যাতিতাকে একটি কালভার্টের কাছে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ওই নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এর পর তাকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানেই মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে তার।
অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে ঘোরা ওই ২ দুষ্কৃতীর পিছু নিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম মহম্মদ করিম শেখ এবং টারজান শেখ। শুক্রবার অ্যাম্বুল্যান্স চালাচ্ছিল করিম। অপর অভিযুক্ত টারজানও পেশায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত ২ জনকে শনিবার তোলা হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে। বিচারক তাঁদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেছেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।’’