Nadia incident

প্রেমিকার কথায় ‘পেশাদার’ খুনি মফস্‌সলের ‘সাদামাটা’ প্রেমিক! নদিয়ায় ব্যবসায়ী খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

দিন সাতেক আগে তাহেরপুরের ব্যবসায়ী রাজা ভৌমিককে গুলি করে খুন করা হয়। তদন্তে নেমে মৃতের ফোনকলের তালিকা ঘেঁটে এক মহিলার কথা জানতে পারে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:১৭
An image of Arrest

—প্রতীকী চিত্র।

সাদামাটা জীবন। একেবারে মফস্‌সলের যুবক বলতে যা বোঝায়, ঠিক তেমন। পুলিশের খাতায় নাম তো দূর অস্ত, হয়তো কোনও দিন পিস্তলও হাতে তুলে দেখেননি। শুধুমাত্র প্রেমিকার কথায় সেই যুবক হয়ে উঠেছিলেন পেশাদার খুনি! বাড়িতে ঢুকে দু’টি গুলি করে ব্যবসায়ীকে খুন করেছিলেন তিনি। নদিয়ার তাহেরপুরে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের পুলিশি তদন্তে এই তথ্য উঠে এল।

Advertisement

দিন সাতেক আগে তাহেরপুরের ব্যবসায়ী রাজা ভৌমিককে গুলি করে খুন করা হয়। তদন্তে নেমে মৃতের ফোনকলের তালিকা ঘেঁটে এক মহিলার কথা জানতে পারে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, বুধবার রাসমণি বিশ্বাস নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যবসায়ী খুনে আগেই চার জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। সকল ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাসমণির প্রেমিক দেবব্রত বিশ্বাসের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পরেই দেবব্রতকে বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার হন খুনের ঘটনায় জড়িত আরও দু’জন। তাঁদের নাম সৌরভ মজুমদার এবং হৃদয় মণ্ডল। দু’জনেরই বাড়ি নতুন পাড়ায়। সেখান থেকেই গ্রেফতার হন সৌরভ। হৃদয় গ্রেফতার হন রাজস্থানের জয়পুর থেকে।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন রাসমণি। কয়েক দিন ধরে সেই টাকা তাঁর কাছ থেকে ফেরত চাইছেন ব্যবসায়ী। কিন্তু রাসমণি তা দিতে পারছিলেন। রাজাও টাকা ফেরত চেয়ে তাঁকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছিলেন। পুলিশ সূত্রে দাবি, এই পরিস্থিতিতে খুনের পরিকল্পনা করেন বলে জেরায় স্বীকার করেছেন রাসমণি। তিনিই জানিয়েছেন, তাঁর কথাতেই রাজাকে গুলি করেছেন দেবব্রত। রাসমণি জেরায় জানিয়েছেন, তিনি দেবব্রতের সঙ্গে হবিবপুরে লিভ-ইন করেন। মাঝে মাঝে বর্ধমানে গিয়েও থাকতেন।

রানাঘাটের পুলিশ সুপার কুমারসানি রাজ বলেন, ‘‘রাজার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন রাসমণি। সেই টাকা বার বার ফেরত চেয়েও পাচ্ছিলেন না রাজা। টাকা ফেরত না পেলে পুলিশকে জানাবেন বলে হুমকি দিতেই তাঁকে খুনের ছক কষে ফেলেন রাসমণি। এর পরে তাঁর কথা মতোই বাকিরা রাজাকে খুন করেন বলে জানা গিয়েছে। খুনের ঘটনায় কোনও সিসিটিভি ফুটেজ পায়নি পুলিশ। নিহতের পরিবারের লোকজনও নির্দিষ্ট করে কোনও সন্দেহের কথা পুলিশকে জানাতে পারেননি। তার পরেও তদন্তের কিনারা পুলিশের সাফল্য।’’

আরও পড়ুন
Advertisement