Panchayat Election

সব আসনেই প্রার্থী দিতে মরিয়া বিজেপি

নদিয়া-উত্তর সাংগঠনিক জেলায় প্রায় ২৩৫৮টি বুথ আছে। বিধানসভা ভোটে বিজেপি তার মধ্যে প্রায় ৬৫০ বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement
সুস্মিত হালদার
কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩৯
প্রার্থী দিতে মরিয়া বিজেপি।

প্রার্থী দিতে মরিয়া বিজেপি। প্রতীকী চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটে নদিয়া-উত্তরে সব আসনে প্রার্থী দেওয়াটাই এখন বিজেপির কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে অনেকে মনে করছেন। বিধানসভা ভোটে অনেক বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি বিজেপি। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে সেই সব বুথে প্রার্থী দেওয়াটাই কঠিন হয়ে পড়বে, মেনে নিচ্ছেন দলেরই অনেকে। তাই যে সমস্ত বুথে এখনও কমিটি তৈরি করা যায়নি সেখানে কমিটি তৈরি করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।

নদিয়া-উত্তর সাংগঠনিক জেলায় প্রায় ২৩৫৮টি বুথ আছে। বিধানসভা ভোটে বিজেপি তার মধ্যে প্রায় ৬৫০ বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এর বেশির ভাগই সংখ্যালঘু এলাকায় বলে বিজেপির দাবি। তার উপরে বিধানসভা- পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি মধ্যে ভাঙন ধরেছে। অনেক সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে গোটা গ্রাম পঞ্চায়েতটাই হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। নদিয়া-উত্তরে প্রায় ১০৬টির মতো গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। ২০১৮ সালে এর মধ্যে প্রায় ৩০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গঠন করেছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে অনেক পঞ্চায়েত তারা ধরে রাখতে পারেনি। ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের হাতছাড়া হয়েছে। বিধানসভা ভেটে পরিস্থিতি আগের থেকেও খারাপ হয়েছে। একমাত্র কৃষ্ণনগর-উত্তর ছাড়া সব কটি বিধানসভা কেন্দ্রে হার হয়েছে তাদের।

Advertisement

সংখ্যালঘু এলাকায় বিজেপি সংগঠনিক শক্তিতে পিছিয়ে রয়েছে, তা দলের নেতাদের অনেকেই স্বীকার করেছেন বিভিন্ন সময়ে। বিজেপির এক জেলা নেতার কথায়, “বিধানসভা ভোটের পর এমন কিছু ঘটেনি যার ফলে সংখ্যালঘু এলাকায় আগের থেকে আমাদের শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। বরং অন্য বেশ কিছু এলাকায় আমাদের শক্তিক্ষয় হয়েছে। সেই সব এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে বুথ কমিটি গঠন করা ও প্রার্থী দেওয়া কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে।”

যদিও বিজেপি নেতৃত্বের একটা অংশের দাবি, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের পাশাপাশি আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল এখন যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে। গ্রামের অনের মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সেটা সংখ্যালঘু এলাকাতেও দেখা যাচ্ছে। আবার তৃণমূলের যাঁরা টিকিট পাবেন না তাঁরা বিজেপির সঙ্গে থাকবেন বা বিজেপির সঙ্গে জোট করে লড়াই করতে চাইবেন বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। এর ফলে এ বার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি সংখ্যালঘু এলাকাতেও লডাইযে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে

বিজেপির নদিয়া-উত্তর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া আহ্বায়ক সন্দীপ মজুদার বলেন, “বিধানসভা ভোটের সঙ্গে এই ভোটকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। মনে রাখতে হবে, আবাস দুর্নীতি গ্রামের মানুষের মধ্যে মারাত্বক প্রভাব ফেলছে। সেই সঙ্গে আছে ১০০ দিনের প্রকল্প। সংখ্যালঘু এলাকা তার ব্যতিক্রম নয়। বিকল্প হিসাবে সংখ্যালঘু মানুষও এ বার আমাদেরই চাইছেন। অনেক জায়গা থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।” তিনি দাবি করেন, শুধু ১০০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়াই নয়, আমরা এ বার তৃণমূলের ভরাডুবি করে ছাড়ব।”

আরও পড়ুন
Advertisement