—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রবি মরসুমে ফসলের বিমার আবেদন করলেন প্রায় সাত লক্ষ চাষি। সর্ষে, গম, মুসুর, ভুট্টা, খেসারি, ছোলা, আলু সহ মোট আটটি ফসলের বিমার আবেদনের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বোরো ধানের জন্য চাষিরা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিমার আবেদন করতে পারবেন। তা ছাড়া তিলের জন্য মার্চ মাস পর্যন্ত চাষিরা বিমার আবেদন করতে পারবেন। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রবি মরসুমে বিমার আওতাভুক্ত দশটি ফসলের জন্য প্রায় সাত লক্ষ চাষি আবেদন জমা করেছেন। এক জন চাষি একই আবেদনপত্রে একাধিক ফসলের জন্য বিমার আবেদন করেছেন।
তবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের মেয়াদ শেষ হওয়া আটটি ফসলের মধ্যে সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে সর্ষের জন্য। সর্ষের জন্য বিমার আবেদন করেছেন প্রায় আড়াই লক্ষ চাষি। গমের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ৩০ হাজার চাষি। বোরোধানের জন্য এ পর্যন্ত আবেদন করেছেন প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার চাষি।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবি মরসুমে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ চাষি বিমার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে জেলার ১২৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় এক লক্ষ ৬৩ হাজার চাষি প্রায় ৬৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
আলু ও আখ বাদে রবি মরসুমে আটটি ফসলের বিমার প্রিমিয়ামের পুরো টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোনও কারণে বিমার আওতাভুক্ত বা বিমা কৃত ফসলের ক্ষতি হলে দফতরের প্রতিবেদন ও উপগ্রহ চিত্র থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন চাষিরা।
জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, “ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ফলে বিমার আগ্রহ বাড়ছে। আমরাও অধিক সংখ্যক চাষিকে বিমার আওতাভুক্ত করতে নানা ভাবে প্রচার করছি। আটটি ফসলের বিমার আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছব।”