— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আলাপ হয়েছিল আচমকাই। মোবাইলে কথাবার্তা শুরু। কিছু দিন আলাপচারিতার পরে শুরু হয় প্রেম। বিয়ের কথাবার্তা পর্যন্ত শুরু হয়েছিল। তার মধ্যেই ‘ঝটকা’। প্রেমিকা অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন, এই সন্দেহে নিজেকে শেষ করে দিলেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে। মৃতের নাম প্রবীর বিশ্বাস ওরফে পাপাই। হাঁসখালির মামজোয়ান পঞ্চায়েতের হলদিপাড়া মাঠপাড়ার বাসিন্দা তিনি। বাবা পরিতোষ বিশ্বাস পরিযায়ী শ্রমিক। টানাটানির সংসারে পরিতোষের স্ত্রী বীণাও টুকটাক বাইরের কাজকর্ম করেন। বড় ছেলে প্রবীরও কিছু দিন ভিন্রাজ্যে ছিলেন কাজের সূত্রে। তখনই ফোনে যোগাযোগ হয় একটি মেয়ের সঙ্গে। আলাপ থেকে প্রেম।
পরিতোষের দাবি, কিছু দিন আগে ছেলের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন তাঁরা। অমত ছিল না। বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। তার মধ্যে ‘অঘটন’। পরিবারের দাবি, পাপাই হঠাৎ জানতে পারেন তাঁর হবু স্ত্রী অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। ওই ধাক্কা সামলাতে না পারে বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। একই কথা বলছেন মৃতের মা।
যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পরিবার। স্থানীয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় পাপাইয়ের। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাঁসখালি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রেমিকার পরিবারের খোঁজ চলছে।