মৃত যুবক প্রশান্ত বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার হাঁসখালিতে। মৃতের নাম প্রশান্ত বিশ্বাস (২৫)। হাসখালির সনাতনপুর আঁটি পাড়ায় বাড়ি যুবকের।
পরিবারের দাবি, প্রতি দিনের মতোই শনিবার সন্ধ্যায় কলাতলা বাজারে কম্পিউটার শিখতে গিয়েছিলেন প্রশান্ত। ক্লাস শেষে প্রতি দিন রাত ১১টায় বাড়ি ফিরতেন তিনি। প্রশান্তর ভাই সুকান্ত ফুলের চাষ করেন। তাঁর দাবি, প্রতি দিনের মতোই রাত ২টো নাগাদ উঠে ফুল বিক্রি করতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলে করে তিনি ফুল নিয়ে যান। শনিবার মোটরসাইকেল না পেয়ে প্রশান্তর ঘরে তাঁকে ডাকতে যান। সেখানে তাঁকে দেখতে না পেয়ে বাইরে বেরিয়ে খোঁজাখুঁজি করতেই একটি পুকুরের সামনে মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখেন।
এর পরই সুকান্ত বাবা-মাকে এবং প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। তখন তাঁরা দেখতে পান পুকুরের ধারে পড়ে রয়েছে প্রশান্তের দেহ। পরিবারের দাবি, মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের সময় তার নীচ থেকে একটি বড় মাপের রক্তমাখা প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে। প্রশান্তর বাবা শ্রীকান্ত অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। এর পর হাঁসখালি থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে হাঁসখালি থানার ওসি-সহ বিরাট পুলিশবাহিনী পৌঁছয়। পুলিশ পৌঁছতেই গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, প্রতি দিন সন্ধ্যা হলেই এই গ্রামে মদ এবং জুয়ার আসর বসে। কোনও দিন পুলিশ আসেও না এই গ্রামে।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা বাধা দেন। তাঁরা দাবি তোলেন, আগে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। তার পর দেহ ছাড়া হবে। পরে প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়ার পর গ্রামবাসীরা প্রশান্তর দেহ তুলে দেন পুলিশের হাতে।