—নিজস্ব চিত্র।
হাঁপ ছাড়ার জো নেই পুলিশকর্মীদের! কালীপুজোয় নানা জায়গা থেকে শব্দবাজির তাণ্ডবের খবর আসছে কন্ট্রোল রুমে। অভিযোগ পেয়েই সেখানে ছুটে যেতে হচ্ছে তাঁদের। এই তুমুল ব্যস্ততার মধ্যেও বার বার ফোন করে মশকরা! কখনও ফোন করে বলা হচ্ছে, "গ্রামে আগুন লেগেছে।" কখনও আবার খুনখারাপির কথা। সহ্যের সীমা ছাড়াতেই তৎপর হয়ে সেই যুবককে গ্রেফতার করল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম বাহারুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে হরিহরপাড়ার কুমড়োদহ ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কালীপুজোর মধ্যে টানা দু’দিন ধরে জেলা পুলিশের কন্ট্রোল অফিসের জরুরি নম্বরে ফোন করেছেন বাহারুল। ফোন করে কখনও দাবি করেছেন যে, গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করছেন। ঠিক তার কিছু ক্ষণ পরেই আবার ফোন করে যুবকের দাবি, গ্রামে আগুন লেগে গিয়েছে। দাউদাউ করে জ্বলছে বহু বাড়ি। এমন খবর পাওয়ার পর কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরাও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন না স্বাভাবিক ভাবেই। তাঁদেরও খোঁজখবর করতে হয়। তাতে বোঝা গিয়েছে, মশকরা করতেই বার বার ফোন করে ভুলভাল খবর দিচ্ছেন যুবক। এর পর আর দেরি না করেই তাঁর ফোন নম্বর ও টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পাকড়াও করা হয় তাঁকে।
শুক্রবার ধৃত বাহারুলকে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বাহারুল হরিহরপাড়ার প্রদীপডাঙা এলাকার বাসিন্দা। এর আগেও জেল খেটেছেন তিনি। মোবাইল চুরি করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন মাস ছয়েক আগে। যুবকের কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে কি না, তা দেখা হচ্ছে।