Murder

স্ত্রীকে বাপেরবাড়ি পাঠিয়ে তাঁর প্রেমিককে ডেকে খুন, এ বার জেরায় বলল মুর্শিদাবাদের অভিযুক্ত

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আখতারুল জেরায় জানিয়েছেন, ফিরদৌসকে খুনের আগে তিনি তাঁর স্ত্রী রুকসানাকে বাপেরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন গত সোমবার। এর পর, বুধবার সকালে তিনি খুন করেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শক্তিপুর শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৯:০৬
খুনের সময় কত জন ছিলেন বাড়িতে, তা নিয়ে রহস্য।

খুনের সময় কত জন ছিলেন বাড়িতে, তা নিয়ে রহস্য। প্রতীকী চিত্র।

পুলিশ হেফাজতে বার বার বয়ান বদল করছে স্ত্রীর প্রেমিককে গলার নলি কেটে খুনে অভিযুক্ত মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরের জিনারাপাড়ার বাসিন্দা আখতারুল শেখ। বুধবার খুনের পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন আখতারুল। সেই সময় তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, স্ত্রীর উপস্থিতিতেই নিজের খুড়তুতো ভাই ফিরদৌস শেখকে গলা কেটে খুন করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার আখতারুল পুলিশকে জানিয়েছেন, খুনের আগে স্ত্রীকে তিনি বাপেরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীকে।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, আখতারুল জেরায় জানিয়েছেন, ফিরদৌসকে খুনের আগে তিনি তাঁর স্ত্রী রুকসানাকে বাপেরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন গত সোমবার। এর পর, বুধবার সকালে রুকসানাকে তিনি ফোনে নির্দেশ দেন, তিনি যেন ফিরদৌসকে জানান জিনারাপাড়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা করার জন্য। তদন্তকারীদের দাবি, স্বামীর কথা মতো রুকসানা ফিরদৌসকে ফোন করেন। রুকসানার কথা রাখতে ফিরদৌস পৌঁছন আখতারুলের বাড়িতে। সেই সময় বাড়িতে রুকসানা ছিলেন না বলেই তদন্তকারীদের জানিয়েছেন আখতারুল। পুলিশের আরও দাবি, আখতারুল জেরায় জানিয়েছেন, ফিরদৌস তাঁর বাড়িতে পৌঁছলে তিনি হাঁসুয়া জাতীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন। এর পর আখতারুল ফিরদৌসের গলার নলি কেটে খুন করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফিরদৌসের শরীরে একাধিক আঘাত করেন তিনি। তবে বুধবার খুনের সময় আখতারুল একা ছিল না কি তাঁকে সাহায্য করতে আরও কেউ সেখানে উপস্থিত ছিল, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।

Advertisement

এ নিয়ে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

বুধবার ফিরদৌসকে বাড়িতে ডেকে তাঁর গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ ওঠে আখতারুলের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, আখতারুলের স্ত্রী রুকসানার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ফিরদৌসের। খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন আখতারুল।

আরও পড়ুন
Advertisement