Murder

প্রৌঢ়কে দড়িতে বেঁধে এলোপাথাড়ি কোপ! ছেলের উপর হামলার পর মুর্শিদাবাদে খুন বাবা

ধারালো অস্ত্র দিয়ে এশাদুলকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে এলাকারই কয়েক জনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে হরিহরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এশাদুলের পরিবার। আগে পুত্র রাজেশকেও খুনের চেষ্টা করা হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিহরপাড়া (মুর্শিদাবাদ) শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:২০
দেড় বছর আগে খুনের চেষ্টা হয় ছেলেকে। দেড় বছর পর খুনের অভিযোগ বাবাকে।

দেড় বছর আগে খুনের চেষ্টা হয় ছেলেকে। দেড় বছর পর খুনের অভিযোগ বাবাকে। —প্রতীকী চিত্র।

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রৌঢ়কে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার মালোপাড়া এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। মৃতের নাম এশাদুল মণ্ডল (৫২)। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। তবে এখনও এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অন্য দিকে, এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে এশাদুলের পুত্র রাজেশকেও খুনের চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে হরিহরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এশাদুলের পরিবার। বর্তমানে ওই মামলা আদালতে বিচারাধীন। চলছে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া। এই প্রেক্ষিতে খুন হলেন এশাদুল।

Advertisement

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রাজেশকে খুনের চেষ্টার অভিযোগের মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের নিয়মিত চাপ দেওয়া হত। এশাদুল কোনও ভাবেই মামলা প্রত্যাহার করতে চাননি বলে তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃতের মা সাগরা বেওয়ার অভিযোগ, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ ৯ জন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারা এশাদুলের হাত-পা এবং মুখ বেঁধে ফেলে। এর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় তাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় এশাদুলকে ফেলে বেরিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা।

এর পর গুরুতর জখম অবস্থায় প্রৌঢ়কে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। পরে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

কী কারণে এই খুন, অভিযুক্ত ঠিক কারা, তা খতিয়ে দেখছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement